মহাকুম্ভে কিন্নর আখড়া বলিউডেরএকসময়ের সেনসেশনাল হিরোইন মমতা কুলাকর্নিকে মহামণ্ডলেশ্বর উপাধি প্রদান করে। যদিও এর মেয়াদ ছিল মাত্র ৭ দিন। এরপর দেখা যায়, বেশ কিছু হিন্দু সাধু এই নিয়ে প্রতিবাদ করলে, তাঁকে তাঁর পদ থেকে অপসারণ করা হয়।
সম্প্রতি একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে মমতা কুলকার্নি তার সন্ন্যাসগ্রহণ নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেন। জানান যে, বিগত ২৩ বছর ধরে তিনি কোনো অ্যাডাল্ট সিনেমা দেখেননি। এমনকী, সব মোহমায়া ত্যাগ করা নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি। আর এই কথোপকথনেই নবরাত্রিতে তাজ হোটেলে ‘২ পেগ হুইস্কি’র প্রসঙ্গটি আসে।
আরও পড়ুন: ‘একটা ১০ সেকেন্ডের ইনস্টাগ্রাম রিল দেখে…’! ক্রমাগত ট্রোল, মুখ খুললেন শ্রীদেবী কন্যা খুশি কাপুর
এই টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারেই মমতা কুলকার্নি জানান যে, ‘আমি যখন বলিউডে ছিলাম, ১৯৯৭ সালেই আমার জীবনে আসেন আার গুরু।’ এরপরই বিতর্কিত এই অভিনেত্রীর কাছে সরাসরি জানতে চাওয়া হয় যে, সকালে নবরাত্রির উপোস করতেন, আর রাতে তাজ হোটেলে দু পেগ স্কচ খেতে যেতেন, এই খবর কতটা সত্যি?
আর এতে মমতা কুলকার্নির কাছ থেকে জবাব আসে, ‘আমর বলিউডে থাকার সময়তেও, খুব নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে থাকতাম আমি। আমি যখনই শ্যুটিং যেতাম, আমার সঙ্গে তিনটে ব্যাগ যেত। একটাতে আমার পোশাক থাকত, আর বাদবাকিতে থাকত পোর্টেবল মন্দির। আমার ঘরে, টেবিলের উপর এই ঠাকুরের মন্দির স্থাপন করা হত। আর আমি পুজো করে, তারপরই যেতাম শ্যুটিংয়ে।’
তিনি আরও বলেন যে, ‘নবরাত্রি হল ন দিনের সিদ্ধি। আমি নবরাত্রি পালন করতাম। আমিও টাই ঠিক করে নিয়েছিলাম যে, আমি উপবাস রাখব এবং প্রতিদিন ৩টি যজ্ঞ করব। একটি সকালে, একটি দুপুরে, আর একটি সন্ধেতে। ওই ৯ দিন শুধু জল খেতাম। চন্দনকাঠ দিয়ে যজ্ঞ করতাম আমি।’
আরও পড়ুন: জলদি শুরু হবে সৌরভের বায়োপিক! জানেন কি ডোনা চরিত্রে এই ‘সেক্সবম্ব’কে পছন্দ মেয়ে সানার
এরপরই তাঁর স্কচ খাওয়ার ব্যাপরটা সামনে আনেন। বলেন, ‘সেই সময় আমার ডিজাইনার একদিন এসে আমাকে বলল, 'মমতা তুমি এসব কী করছ? তুমি তো বেশি সিরিয়াস হয়ে গিয়েছ? চলো চলো ওঠো, নয় দিন যথেষ্ট!' এরপর আমরা দুজন মিলে দ্য তাজ হোটেলে যাই। একটা দুটো নবরাত্রিতে এরকম হয়েছে। এরপর স্কচ খাই। কিন্তু ২ পেগ খাওয়ার পরেও আমাকে বাথরুমে ছুটতে হয়েছিল। মনে হচ্ছিল, যেন পুরো মদই আমার মাথায় উঠে গিয়েছে। ৯ দিন উপবাসে থাকা, শরীরের কোনো খাবার না থাকা, সব যেন আমাকে তোলপাড় করে দিয়েছিল। মনে হচ্ছিল ভিতরটা যেন জ্বলে যাচ্ছিল। বাথরুমের মধ্যে ঢুকে ৪০ মিনিট বসে ছিলাম।’
মমতা এরপর আরও জানান যে, ‘দেখুন এসবই হয়েছে ১৯৯৬-৯৭ সালে। এই দুই বছর আমার গুরু বুঝতে পেরেছিলেন যে, বলিউড আমাকে এই পথে (সন্ন্যাসের পথে) থাকতে দেবে না। সেই কারণে উনি আমার জন্য এমন একটা জায়গা বেছে দিলেন, যেখানে কেউ আমার সঙ্গে দেখা করতে পারবে না ২২ বছর।’