Uday Shankar Birth Anniversary: কিংবদন্তি নৃত্যশিল্পী উদয় শঙ্করের জন্মদিবস ৮ ডিসেম্বর । ভারতীয় নৃত্যকলায় যাঁর অবদান অনস্বীকার্য। শ্রদ্ধেয় শিল্পীর জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে শান্তিনিকেতনের সৃজনী শিল্পগ্রামে আয়োজিত হল দুই দিনের একটি বিশেষ নৃত্য উৎসব। উদয় শঙ্কর নৃত্য উৎসব। আয়োজনে ওয়েস্টবেঙ্গল ডান্স গ্রুপ ফেডারেশন। অনুষ্ঠানটির সহায়তায় ছিল ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টার। রাজ্যের মোট ২৪টি নৃত্য সংগঠন অংশ নেয় এই উৎসবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মমতা শঙ্কর, পার্বতী গুপ্ত, চন্দ্রোদয় ঘোষ, জোনাকি সরকার, প্রদীপ্ত নিয়োগী, অমিত অধিকারী প্রমুখরা। উদয় শঙ্কর নৃত্য উৎসবের এটি তৃতীয় বর্ষ। গত দুই বছরের মতোই সফলভাবে সম্পন্ন হল সবটা। আগামী দিনে ফেডারেশনের উদ্যোগে আরও বিভিন্ন জেলায় উদয় শঙ্কর নৃত্য উৎসব আয়োজিত হতে পারে বলে খবর।
সৃজনী শিল্পগ্রামে বিশেষ অনুষ্ঠান
শান্তিনিকেতনের সৃজনী শিল্পগ্রামে আয়োজিত ‘আলমোরা’য় দুদিন ধরে কলকাতা ও জেলার বিভিন্ন ডান্স গ্রুপ অংশ নেয়। প্রথম দিনে অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন মমতা শঙ্কর ডান্স কোম্পানি, ডান্সার্স গিল্ড, আনন্দধারা, শিল্প বিতান, সূচনাসহ আরো অনেকে। দ্বিতীয় দিনে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডান্স গ্রুপ ফেডারেশন, নৃত্য উপাসনা, আনন্দধ্বনি, স্টেপস এন্ড রিদম-সহ আরও বেশ কিছু দল।
আরও পড়ুন - Astok Gaan: ‘দিদি চাইলে কী না হয়!’ অনুদানের আশায় আজও অপেক্ষায় মালদার অষ্টকগানের শিল্পীরা
কী বললেন মমতা শঙ্কর
কলকাতাসহ বিভিন্ন জেলার নৃত্যসংস্থা এই বর্ণাঢ্য উৎসবে অংশগ্রহণ করেছিল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মমতা শঙ্কর (Mamata Shankar) জানান, ‘কলকাতার বাইরেও ওয়েস্ট বেঙ্গল ডান্স গ্রুপ ফেডারেশন এর কাজের প্রচার, প্রসার এই অনুষ্ঠানের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। জেলায় জেলায় অনেক গুণী শিল্পী ও নৃত্যসংস্থা আছে যাঁরা সবসময় কলকাতায় এসে নৃত্য পরিবেশন করতে পারেন না। আবার অনেক কলকাতার সংস্থা আছে যারা জেলায় গেলে সেখানকার দর্শক তাদের কাজ দেখার সুযোগ পান। তাই, কলকাতার বাইরে জেলায় এই আয়োজনের গুরত্ব অপরিসীম।’
আরও পড়ুন - HT Bangla Exclusive: পা ছাড়াও দাঁড়ানো যায় নিজের পায়ে! ৪০ বছর ধরে তারই প্রমাণ বর্ধমানের পাঁচুবাবু
বাবাকে নিয়ে নস্টালজিক মমতা শঙ্কর
বাবার জন্মবার্ষিকীতে এই বিশেষ অনুষ্ঠানে কিছুটা স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন মমতা শঙ্কর। কথায় কথায় উঠে আসে ছেলেবেলার কিছু স্মৃতি। ‘ছেলেবেলায় বাবার অনুষ্ঠান থাকলে সাইড উইংস থেকেই বাবার পারফরম্য়ান্স দেখতাম। কোনও গ্রাম্য দৃশ্য থাকলে আমায় কোলে নিয়ে মঞ্চে একপাক ঘুরে নিতেন বাবা। অভিনয়টা বাবার থেকেই পেয়েছি। ছোটবেলায় কোনও কিছু ভালো না লাগলে সেটা নিয়ে বাবাকে বলতাম। তখন বাবা বলতেন এই কথাটা কতরকম ভাবে বলতে পারো বলো। ওটা আমার কাছে একটা এক্সারসাইজ ছিল। গত জন্মে আমি হয়তো খুব পুণ্য করেছিলাম যে এরকম বাবা-মাকে পেয়েছি।’