অতীতে শাড়ির আঁচল বিতর্কে নাম জড়িয়েছিল তাঁর। কিছুদিন আগে মেট্রোতে যুগলের চুমু বিতর্ক নিয়েও বেফাঁস মন্তব্য করে কটাক্ষের শিকার হন মমতা শঙ্কর। এবার তিনি এই বিষয়ে মুখ খুললেন। কী জানালেন ট্রোলিং নিয়ে?
আরও পড়ুন: '১৯৯২ সালে ওদের বিচ্ছেদ হয় তারপর...', মা বাবার ডিভোর্স কতটা প্রভাবিত করেছিল সৃজিতকে?
কটাক্ষ নিয়ে কী জানিয়েছেন মমতা শঙ্কর?
সম্প্রতি টিভি ৯ বাংলাকে মমতা শঙ্কর তাঁকে যে লাগাতার কুরুচি ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে শাড়ি বা চুমু বিতর্ক নিয়ে তাঁর করা মন্তব্যের জন্য, সেই বিষয়ে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন তিনি যা বলেছেন সেটা তাঁর মত। তিনি কারও উপর কিছু চাপিয়ে দেননি।
মমতা শঙ্করের কথায়, ' আমার ট্রোল করা হচ্ছে তার কারণ আমি কাটাকাটা ভাষায় জবাব দিচ্ছি। আমি তো কারও উপর কিছু চাপিয়ে দিচ্ছি না। ঠিক করে দিচ্ছি না যে এই পোশাক পরতে হবে। নিজের স্বার্থেও কিছু বলছি না। আমারও স্বাধীনতা আছে কথা বলার, বাকিদের মতোই।'
তিনি এদিন আরও বলেন, 'ভুল জিনিস দিয়ে নিজেদের প্রগতিশীল প্রমাণ করা যায় না। পথেঘাটে অস্বাভাবিক কিছু দেখলে নিজে থেকেই সেই দিকে নজর চলে যায়। পাগলারা তো রাস্তায় জামা কাপড় খুলেই ঘুরছে। ওদের সঙ্গে সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের মধ্যে তাহলে তফাত কী রইল? খোলামেলা পোশাক পরলে আমাদের মেয়েদেরই নজর সেই দিকে চলে যায়। মেয়ে হিসেবে মান সম্মান বোধ থাকা জরুরি। আর প্রতিটা মেয়ের সেটা ধরে রাখা প্রয়োজন।'
আরও পড়ুন: দগ্ধ জিভে আওড়াচ্ছেন ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনা, হাঁটছেন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে! হঠাৎ কী হল মিঠুনের?
কী নিয়ে এই বিতর্ক? কিছু মাস আগে মেট্রোতে এক যুগলের চুম্বনের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে মমতা শঙ্কর বলেছিলেন তিনি বিষয়টা মোটেও ভালো ভাবে দেখছেন না। তিনি যে এই ধরনের জিনিসের বিরুদ্ধে সেটাও স্পষ্ট করে দেন। বলেছিলেন, 'এরপর তো সমস্ত কিছু করার সাহস হয়ে যাবে। স্থান, কাল, পাত্রের কোনও জ্ঞান থাকবে না? জন্তুরা অনেক ভালো আমাদের থেকে।' তিনি জানিয়েছিলেন এসব ঘটনার জন্যই নাকি আজকাল ধর্ষণ হচ্ছে এত। প্রশ্ন তুলেছিলেন মূল্যবোধ নিয়েও।