প্রাক্তন বলিউড অভিনেতা মমতা কুলকার্নি শুক্রবার মহাকুম্ভে সন্ন্যাস গ্রহণ করেছেন। কিন্নর আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন প্রাক্তন অভিনেতা। তবে এবার মমতাকে নিয়ে মুখ খুলেছেন রূপান্তরকামী কথবক জগৎগুরু হিমঙ্গী সখী মা। সংবাদসংস্থা এএনআই-এর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে হিমঙ্গী সখী প্রশ্ন তুলেছেন মমতা কুলকার্নির অতীত বিতর্ক নিয়ে। আদৌ কতটা যুক্তিসঙ্গত, মমতাকে মহামণ্ডলেশ্ব হিসেবে নিযুক্ত করা, তা নিয়েও তুলেছেন প্রশ্ন।
‘কিন্নর আখড়া মমতা কুলকার্নিকে প্রচারের জন্য মহামণ্ডলেশ্বর করেছেন। সমাজ তাঁর অতীত খুব ভালো করেই জানে। এমনকি অতীতে মাদক মামলায় জেলও খেটেছেন। হঠাৎ, তিনি ভারতে পৌঁছেন, মহা কুম্ভে অংশ নেন এবং তাকে মহামণ্ডলেশ্বরের পদ দেওয়া হয়। এর তদন্ত হওয়া দরকার’, এএনআইকে বলেন হিমঙ্গী।
‘এমন ব্যক্তিকে মহামণ্ডলেশ্বর উপাধি দিয়ে আপনি সনাতন ধর্ম নিয়ে কী ধরনের বার্তা রাখছেন সামনে? এটা নৈতিকতার প্রশ্ন। যে গুরু হওয়ার যোগ্য নয়, তাঁকে গুরু বানানো হচ্ছে।’, আরও বলেনহিমাঙ্গী।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান থেকে খুনের হুমকি! এরই মাঝে ‘কিস কিসকো পেয়ার করুঁ ২’র শ্যুট শুরু কপিলের
শুক্রবার প্রয়াগরাজের সঙ্গম ঘাটে নিজেই নিজের পিন্ড দান করেন অভিনেতা মমতা কুলকার্নি। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে প্রাক্তন অভিনেতা বলেন, ‘... এটাই ছিল মহাদেবের আদেশ, মহাকালীর আদেশ। এই ছিল আমার গুরুর আদেশ। এই দিনটিকেই বেছে নিয়েছেন তাঁরা। আমি কিছুই করিনি।’
এর আগে কিন্নর আখড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর লক্ষ্মী নারায়ণ ঘোষণা করেন, মমতা কুলকার্নি মহামণ্ডলেশ্বরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: মেয়ে নিত-কনে, ধরল মায়ের পিঁড়ি! ডাক্তার পাত্রকে ২য় বিয়ে গীতা এলএলবি-র মল্লিকার, টলিউডের কারা এল
‘কিন্নর আখড়া মমতা কুলকার্নিকে (প্রাক্তন বলিউড অভিনেত্রী) মহামণ্ডলেশ্বর বানাতে চলেছেন। তাঁর নাম রাখা হয়েছে শ্রী ইয়ামাই মমতা নন্দগিরি। আমি যখন এখানে কথা বলছি, তখন সব আচার অনুষ্ঠান চলছে। তিনি গত দেড় বছর ধরে কিন্নর আখড়া এবং আমার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন... তিনি পরবর্তীতে চাইলে যে কোনও ভক্তিমূলক চরিত্রে অভিনয় করতে পারেন, কারণ আমরা কাউকে তাদের শিল্প পরিবেশন করতে নিষেধ করি না’, বলেছিলেন লক্ষ্মী নারায়ণ।
মমতা কুলকার্নি ১৯৯০ এর দশকে ‘করণ অর্জুন’ এবং ‘বাজি’র মতো হিট ছবিতে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। শাহরুখ খান, সলমান খান ও আমির খানের মতো তারকাদের সঙ্গে কাজ করেছেন মমতা। তবে মাদক বিতর্কে নাম জড়ানোর পর-পরই ২০০০ সালের গোড়ার দিকে মমতা বলিউড থেকে দূরে সরে গিয়ে বিদেশে পাড়ি জমান।