বলিউড অভিনেতা সলমন খান যে সিনেমার শুটিং করছিলেন, সেই ভেন্যুতে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করার অভিযোগে ২৬ বছর বয়সী এক যুবককে আটক করা হয়েছে। দেখা যায় যখন সেই ব্যক্তিকে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়, তখন সে নিরাপত্তারক্ষীদের তাকে তাকিয়ে বলে, ‘বিষ্ণোই কো বুলাউ কেয়া?’ অর্থাৎ বিষ্ণোই কে ডাকব নাকি?
শর্মা নামে এক জুনিয়র আর্টিস্টকে আটক করে শিবাজি পার্ক থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে মাহিম পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, মাহিমের শিবাজি পার্কে চলা সলমন খানের শুটিং ভেন্যুতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হলে, রাগের মাথায় হুমকির মতো ভাষা ব্যবহর করেছিলেন শর্মা। পুলিশ আরও জানায়, একজন গ্যাংস্টারের নাম নেওয়ার পরিণতি কী হতে পারে, সে হয়তো তা ভাবেওনি।
আরও পড়ুন: ভবানী পাঠক প্রসেনজিৎকে এক চুল জমি ছাড়লেন না শ্রাবন্তী! ‘দেবী চৌধুরানী’র পোস্টারে বড় চমক
তবে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নাম নিয়ে হুমকি দেওয়ায় পুলিশ কোনও ঝুঁকি নিচ্ছে না। গত এপ্রিলে একটি মোটরসাইকেলে করে আসা বিষ্ণোই গ্যাংয়ের দুই দুষ্কৃতী সলমনের বান্দ্রার বাড়ির বাইরে গুলি চালায়। পরবর্তীতে ঘটনার দায় স্বীকার করে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল। বিষ্ণোই গ্যাং অভিনেতার পানভেল ফার্মহাউসের একটি রেকিও করেছিল বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: একা ইমন নন, অস্কার ২০২৫-এর দৌড়ে এবার বাংলা থেকে মোট ৫জন! কার তাঁরা?
বুধবারের ঘটনাটি তাই মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে, যারা বাবা সিদ্দিক হত্যা মামলার তদন্ত করছে, যার শ্যুটাররা এই বিষ্ণোইয়ের সঙ্গেই যুক্ত।
বিগত কয়েক বছরে একটানা হুমকি দেওয়া হচ্ছে সলমন খানকে। সিধু মুসেওয়ালাকে হত্যার পর থেকেই মূলত যা শুরু হয়েছিল। কখনও হুমকি চিঠি, ইমেল, কখনো ২ কোটি টাকা চাওয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হাম সাথ সাথ হ্যায়-এর সেটা যোধপুরে ঘটনা একটি ঘটনা। যখন শিকার করা হয় একটি কৃষ্ণসার হরিণের। এর দায় চাপে সলমনের ঘাড়ে। যদিও অভিনেতা প্রথম থেকে তা অস্বীকার করে এসেছেন। কিন্তু সেই মামলায় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেননি। আর এই কৃষ্ণসার হরিণকেই পবিত্র মনে করে পুজো করে বিষ্ণোই সম্প্রদায়।