চরম ব্যস্ত তিনি। দম ফেলার ফুরসৎ নেই। কিন্তু পুজোর পাঁচ দিন ছুটি চাই-ই চাই! তাই এখনই ধারাবাহিকের আগাম কয়েকটি পর্বের শ্যুট সেরে রাখছেন অভিনেত্রী মানালি দে। কাজের ফাঁকেই হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে ফোনে আড্ডা দিলেন তিনি। জানালেন পুজোর পরিকল্পনা।
সারা বছর এই সময়ের জন্যই অপেক্ষা করে থাকেন মানালি। শ্যুটিং ফ্লোরের 'লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন'-এর হাঁকডাক থেকে দূরে কাছের মানুষদের সঙ্গে সময় কাটান। এ বারও তা-ই করবেন। তার সঙ্গেই চলবে পুজো উদ্বোধন আর স্টেজ শো। মানালি বললেন, 'শুরুর দিকে বেশ কয়েকটা পুজো উদ্বোধন করব। এ ছাড়াও অষ্টমী আর দশমীতে শো আছে। ষষ্ঠী, সপ্তমী আর নবমী পরিবারের সবার সঙ্গে সময় কাটাব।'
বাঙালির হুজুগ বহুমাত্রিক। পুজোয় নতুন জামা যেমন চাই, তেমনই পাতে থাকতে হবে মনের মতো খাবার। মানালিও ব্যতিক্রম নন। এই কয়েক দিন ডায়েট ভুলে চেখে ফেলেন পছন্দের সব পদগুলি। তিনি বললেন, 'পুজোর বেশ কিছু দিন আগে থেকেই ডায়েট বন্ধ করে দিই। কয়েকটা দিন প্রচুর খাওয়াদাওয়া করি। অষ্টমীর সকালে গরম গরম লুচি চাই-ই চাই!'
উৎসব ঘিরে আনন্দ যেমন আছে, তেমনই আছে বিতর্ক। দিন কয়েক আগেই ছোট পর্দার শিল্পীদের একটি 'রেট কার্ড' নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পুজো উদ্বোধন করতে বা গোদা বাংলায় ফিতে কাটতে 'আনুমানিক' কে কত টাকা নেন, সেই ফিরিস্তি দেওয়া ছিল সেখানে। ঘটনাচক্রে সেই তালিকায় মানালির নামও দেখা যায়। শিল্পীদের পারিশ্রমিকের অঙ্ক নিয়ে চর্চা ছিল তুঙ্গে। বয়ে যায় সমালোচনার ঝড়।
এ প্রসঙ্গে মানালির বক্তব্য, 'যে বা যাঁরা এই খবরটি করেছিলেন, তাঁরা কিন্তু আমার সঙ্গে এ বিষয়ে কোনও কথা বলেননি। আমি কত রোজগার করি, তা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। আর সেটি নিয়ে লেখার আগে একবার আমার কাছেই কিছু জানতে চাওয়া হল না। শুধুমাত্র পারিশ্রমিকের সংখ্যার আগে 'আনুমানিক' শব্দটি বসিয়ে দিলেই কি সব দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া যায়?'
এখানেই থেমে থাকেননি মানালি। তাঁর দিকে ধেয়ে আসা যাবতীয় ট্রোল-কটাক্ষের জবাব দিয়ে তিনি বললেন, 'আমরা যখন শো করি, শ্যুট শেষ করে আমাদের সেটা করতে যেতে হয়। কাকভোরে যখন বাড়ি ফিরি, তখন রাস্তায় লরি ছাড়া আর কিছু দেখতে পাই না। পর দিন কিন্তু আমাদের ফের শ্যুট করতে বেরিয়ে পড়তে হয়। আমাদের পারিশ্রমিক নিয়ে চর্চা হয়, কিন্তু পরিশ্রমটা অনেকেই দেখেন না।'
এ ধরনের বিতর্ককে পেশার অঙ্গ বলেই ধরে নিয়েছেন মানালি। পুজোর চারটে দিন এ সব ভুলে আনন্দে মেতে উঠতে চান 'ধুলোকণা'র ফুলঝুরি।