প্রাজপতি জায়গা পায়নি নন্দনে! এটাই কেন বঙ্গ-রাজনীতির সবচেয়ে বড় টপিক। দেব একটা টুইট করে শুধু জানিয়েছিলেন নন্দনে তাঁর ছবি দেখানো হবে না। একটা বাড়তি কথাও খরচ করেননি অভিনেতা। তবে নেটিজেনদের বড় অংশের ধরতে অসুবিধে হয়নি ব্যাপারটা আসলে কী! দাবি উঠতে থাকে বিজেপির মিঠুনের এই ছবিতে থাকার কারণেই নন্দনে জায়গা দেয়নি তৃণমূল-সরকার।
এই নিয়ে মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ প্রথমে। রাজনীতির রং আরও জোরদার হয় গোটা ঘটনায়। তবে সবচেয়ে বড় বিতর্ক হয় কুণাল সরকারের কথায়। মিঠুনের জন্য ছবিটি ‘ডুবেছে’, বলে বসেন। সঙ্গে বলেন ছবিতে মিঠুনের জায়গায় পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিলে বেশি ভালো হত। এবার এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন বাম-মনস্ক অভিনেত্রী মানসী সিনহা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মানসীকে বলতে শোনা যায়, ‘দেবের অসাধারণ কাস্টিং ক্যালকুলেশন এই ছবিতে। ওর কাজও দুর্দান্ত লেগেছে। খুব পরিণত। শুনলাম কুণাল ঘোষ একটা মন্তব্য করেছেন মিঠুনকে নিয়ে। আসলে এটা যার যার ব্যাপার। আমিও তো একটা মন্তব্য করতে পারি দেশের অর্থনীতি কীভাবে চালানো উচিত। এবার আমি মন্তব্য করা মানেই তো এই নয় এটা প্রমান্য সত্য হয়ে গেল। কুণাল ঘোষের ক্ষেত্রেও তাই। উনি নিজের অভিনয় সংক্রান্ত অযোগ্যতা নিয়ে ওয়াকিবহাল নন। ওঁর ধারণা উনি অভিনয় বোঝেন। কিন্তু জানেন না উনি অশিক্ষিত… আমি কিন্তু অভিনয়টা নিয়ে বলেছি, অন্য কিছু নিয়ে নয়।’
মানসী আরও বলেন, ‘আমাদের বর্তমান সরকার শিল্প আর রাজনীতিকে মিশিয়ে ফেলেছে। উনি ভাবছেন যে তৃণমূল করবে সেই এখানে যাবতীয় সুযোগ-সুবিধে পাওয়ার যোগ্য। ওঁর ভাবনার সীমাবদ্ধতা এটা। এবার কিছু তো করার নেই। মেনে নিতে হবে আমাদের। যখন উনি চলে যাবেন কালের নিয়মে বলব বড় খারাপ সময় ছিল ওটা।’
সঙ্গে জুড়ে দেন, ‘আমার ইন্ডাস্ট্রির চেনাশুনারা এই নিয়ে কথা বলছেন না হয় ভয়ে, নয়তো ভাবছেন কে এই কুণাল ঘোষ, কী বা আসে যায়!’
দেব নিজেও কুণাল ঘোষের মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘সিনামটা আমার উপর ছেড়ে দিন...’। সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন ভবিষ্যতেও মিঠুনের সঙ্গে কাজ করবেন।