২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর বলিউডকে চিরতরে বিদায় জানানোর ইঙ্গিত দিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা স্বীকার করেছেন, হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে 'ভুয়ো' মনে করেন তিনি, তাই নির্বাচনে জিতলে সক্রিয় রাজনীতির দিকে ঝুঁকবেন নায়িকা।
বলিউডকে 'নকল' বলে কটাক্ষ কঙ্গনার
অভিনেত্রী হিসাবেই জনতার মনে জায়গা করে নিয়েছেন কঙ্গনা। অভিনয় জগতে প্রায় দু-দশক কাটিয়ে ফেলা অভিনেত্রীর কাছে এখন হঠাৎই ‘চোখের বালি’ বলিউড। অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল মান্ডি থেকে নির্বাচনে জিতলে তিনি বলিউড ছেড়ে দেবেন কিনা। সটান ‘হ্যাঁ’ বলেন কঙ্গনা। অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘ফিল্মি দুনিয়া মিথ্যে, সেখানে যা কিছু আছে সবই ভুয়ো। তারা একটি খুব ভিন্ন পরিবেশ তৈরি করে। এটি একটি নকল বুদবুদের মতো, যা চকচকে বিশ্ব হিসাবে উপস্থাপিত হয় দর্শকদের আকর্ষণ করার জন্য। এটাই বাস্তবতা। আমি খুব আবেগপ্রবণ মানুষ। এমনকি চলচ্চিত্রেও আমি লেখালেখি শুরু করি, এবং যখন আমি কোনও চরিত্রে অভিনয় করতে বিরক্ত হয়ে যাই, তখন আমি পরিচালনা করি বা প্রযোজনা করি, তাই আমার খুব উর্বর মন রয়েছে এবং আমি আবেগের সাথে জড়িত থাকতে চাই।’
কঙ্গনা রানাউত সম্পর্কে
কঙ্গনা তার নিজের শহর মান্ডি থেকে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আপতত জোর কদমে প্রচার নিয়ে ব্যস্ত বলিউডের কুইন। বেফাঁস মন্তব্য়ের জন্য হামেশাই চর্চায় থাকেন অভিনেত্রী। মোদীভক্ত কঙ্গনা এবার সরাসরি নির্বাচনের আসরে। অনুরাগ বসু পরিচালিত 'গ্যাংস্টার' ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। সিনেমাটিতে ইমরান হাশমি এবং শাইনি আহুজাও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এবং এটি প্রযোজনা করেছিলেন মহেশ ভাট। 'কুইন', 'তনু ওয়েডস মনু', 'তনু ওয়েডস মনু রিটার্নস'-এর মতো ছবি দিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন কঙ্গনা, তাঁর ঝুলিতে রয়েছে চারটি জাতীয় পুরস্কার।
কঙ্গনা রানাওয়াতের আসন্ন প্রোজেক্ট
কঙ্গনা' পরিচালিত ‘এমার্জেন্সি’ জুনে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল, তবে নির্বাচনী ব্যস্ততার জেরে এই ছবির মুক্তি পিছিয়ে দিয়ছেন নায়িকা। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ২১ মাস ধরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন, সেই রাজনৈতিক পিরিয়ড-ড্রামায় ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কঙ্গনা। এছাড়াও তাঁর হাতে রয়েছে সীতা: দ্য অবতার, নটি বিনোদিনী এবং আর মাধবনের সাথে একটি থ্রিলার।