এদিন মন্দিরা বেদি তাঁর কেরিয়ারের শুরুর দিকের একটি স্মৃতিচারণ করলেন। জানালেন ২০০৩ সালে তিনি যখন ক্রিকেট বিশ্বকাপের প্রেজেন্টার হিসেবে কাজ করছিলেন তখন তিনি প্রায় রোজ কাঁদতেন। কিন্তু কেন?
আরও পড়ুন: দেবের ছবির ভুলচুক চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন সৃজিত! তবুও কেন বললেন, 'খাদান ভীষণ জরুরি ছবি...'?
আরও পড়ুন: সেটে মারাত্মক 'কড়া' সৃজিত! 'তোপসে' কল্পন বললেন, 'শুরুর দিকে খুব বকা খেয়েছি, তারপর...'
কী জানালেন মন্দিরা?
১৯৯০ এর দশকে অভিনেত্রী হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন মন্দিরা বেদি। তারপর ২০০০ এর গোড়ার দিকে মন দেন টিভির দুনিয়ায়। এরপর ২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় তাঁকে স্পোর্টস প্রেজেন্টার হিসেবে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু সেই অভিজ্ঞতা তাঁর মোটেই ভালো ছিল না বলে এদিন জানালেন অভিনেত্রী। বিশেষ করে শুরুর দিকে কিছুদিন। করিনা কাপুর খানের শো হোয়াট ওমেন ওয়ান্টে এসে তিনি জানালেন কীভাবে তিনি লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন।
মন্দিরা বেদি এদিন কথা প্রসঙ্গে জানান, 'এখন ক্রিকেট হোক বা অন্য ধরনের যে কোনও খেলার টেলিকাস্টে মহিলাদের জায়গা হয়েছে। কিন্তু তুমি যখন বিষয়টা শুরু করো তখন লোকজন তোমায় আতশ কাচের নিচে ফেলে যাচাই করবে। খুঁটিয়ে তোমার কাজ দেখবে, তোমায় নিয়ে মন্তব্য করবে, বলবে যে এটা তোমার জায়গা নয়। ও এখানে কী করছে? ও কেন ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা করবে?'
তিনি এদিন আরও বলেন, 'আমাকে চ্যানেলের তরফে বলা হয়েছিল প্রশ্ন করার জন্য। ওরা দর্শক পেতে চেয়েছিল, আর আমায় নেওয়ার পর ওরা সেটা পেয়েছিল। কিন্তু শুরু করাটা খুব কঠিন ছিল, কারণ কেউ বিষয়টা সহজে মানতে পারছিল না। যখন আপনি একটি প্যানেলে বসে লেজেন্ডদের সঙ্গে কথা বলা একটা আলাদাই ব্যাপার। ওদের ভাষায়, ওদের মতো করে কথা বলতে হতো।'
মন্দিরা বেদি এদিন আরও বলেন, 'প্রথম এক সপ্তাহ আমার মাথায় এত চাপ ছিল, এত চিন্তিত ছিলাম, এত নার্ভাস ছিলাম যে ক্যামেরা বন্ধ হলেই আমিও চুপ করে যেতাম। আমার নিজেরও মনে হতো এই জায়গাটা আমার জন্য নয়। শো শেষ হওয়ার পর রোজ মাথা নিচু করে কাঁদতাম।'
আরও পড়ুন: 'মিউজিকের ইন্ডাস্ট্রি' করণ! ভিকির প্রশংসা শুনে মঞ্চেই অঝোরে কেঁদে ফেললেন 'তওবা তওবা'র কম্পোজার
কিন্তু কীভাবে সেই জায়গা থেকে নিজেকে বের করেন মন্দিরা? এই বিষয়ে তিনি জানান, 'একদিন চ্যানেলের তরফে আমায় ফোন করে বলা হয় হাজার হাজার মহিলাদের মধ্যে তোমায় বেছেছি আমরা। আমরা বিশ্বাস করি এই জায়গাটা তোমারই। তুমি কোনও অ্যানালিস্ট না, কমেন্টেটর না। একজন প্রেজেন্টার।' ওদের সেই কথাটাই আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।