মাত্র ৪৯ বছর বয়সে মারা গেলেন রাজস্থানী ফোক ব্যান্ড বারমার বয়েজের প্রধান কণ্ঠশিল্পী মাঙ্গে খান। বেশ কিছু মাস ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। হার্ট সার্জারির জন্য হাসপাতালেও ভরতি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সব চেষ্টা বিফল করে দিয়ে স্ত্রী এবং তিন সন্তানকে রেখে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি।
আশুতোষ শর্মা যিনি বারমার বয়েজের অন্যতম প্রতিনিধি তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে প্রবেশ করার আগে খান সাহেব বলেছিলেন, তাবিয়াত জোরদার (খুব ভালো আছি), মিলতে হে, অপারেশন কে বাদ। কিন্তু ওনাকে আর যে দেখতে পাব না ভাবতেও পারি নি।’
(আরও পড়ুন: 'উৎসবে ফিরছি না' বলেও 'টেক্কা'র প্রচার স্বস্তিকার, ভিডিয়ো পোস্ট করে কী বললেন তথাগত?)
২০১০ সালে রাজস্থানের বারমেরের রামসার গ্রামে আমাররাস রেকর্ড-এর সাথে যাত্রা শুরু করেছিলেন তিনি। যাত্রার প্রথম দিকে রুকমা বাইয়ের সঙ্গে গান করতেন তিনি। রুকমা বাই হলেন প্রথম মাঙ্গানিয়ার গায়িকা যিনি জনসম্মুখে গান পরিবেশন করেছিলেন। রুকমার সঙ্গে জুটি বেঁধে গান গাইতে গাইতে খুব অল্পদিনের মধ্যেই খ্যাতি অর্জন করেছিলেন খান সাহেব।
বিগত কয়েক বছরে রাজস্থানের লোক সঙ্গীতকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়েছিলেন মাঙ্গে খান। কোক স্টুডিও, NH7, উইনিপেগ ফোক ফেস্টিভ্যাল, WOMAD সহ একাধিক ইন্টারন্যাশনাল অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেছিলেন তিনি। অক্ষর জ্ঞ্যান না থাকা সত্ত্বেও প্রাণ খোলা হাসি এবং অসাধারণ গানের জন্য তিনি সকলের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন।
(আরও পড়ুন: ইনি নাকি পাকিস্তানের প্রিয়াঙ্কা চোপড়া! অভিনেত্রীর ছবি ভাইরাল হতেই মত সকলের)
মাঙ্গে খানের এই চলে যাওয়াকে একটি অপুরনীয় শূন্যতা বলে অভিহিত করেছেন আশুতোষ শর্মা। তিনি বলেন, ‘খান সাহেব একজন অসাধারণ কণ্ঠের অধিকারী ছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি ছিলেন আমার প্রিয় বন্ধু এবং একজন ভীষণ ভালো মানুষ। অল্প বয়সে এই মর্মান্তিক মৃত্যু শুধু তাঁর পরিবারের জন্য নয় আমাদের জন্যও বিশাল বড় ক্ষতি।’
মাঙ্গে খান তাঁর কর্মজীবনে খান খালেদ, ভিয়েক্স ফারকা ট্যুরে এবং ফাতুমাতা দিওয়ারার মতো বিশ্ব বিখ্যাত শিল্পীদের সঙ্গে পারফর্ম করেছিলেন। বারমার বয়েজকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনি। খান সাহেবের অকালপ্রয়াণ নিঃসন্দেহে সঙ্গীত জগতে একটি অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে থেকে যাবে সারা জীবন।