এইমুহূর্তে নেটমাধ্যমে খুললেই শুধু চোখেই পড়বে না, সঙ্গে শোনাও যাবে ভাইরাল হওয়া ‘মানিকে মাগে হিথে’ গানটি। শ্রীলঙ্কার শিল্পী ইওহানি ডি’সিলভার কণ্ঠে এই গান শোনা গিয়েছে। অসংখ্য শিল্পী এই গানটি কভার করেছেন। পাশাপাশি নেটিজেনরাও বুঁদ হয়েছেন গানের এই মনমাতানো সুরে। এবার বাংলাদেশের হিরো আলমও গেয়ে উঠলেন ‘মানিকে মাগে হিথে'। নাকি বলা ভালো ইওহানির থেকে এই গানটি শিখে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে গাওয়ার চেষ্টা করলেন আলম? আর তা নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় মস্করা জুড়েছেন রুদ্রনীল ঘোষ। রুদ্রনীলের সেই রসিকতা আবার ভারি মনে ধরেছে নেটিজেনদের। অভিনেতা-রাজনীতিবিদের এই 'কীর্তি' দেখে হেসে কুটিপাটি নেটপাড়া। কী শুনে চমকে গেলেন তো? পুরো ব্যাপারটা জানতে চোখ রাখতে হবে অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের করা একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে।
সম্প্রতি, একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন রুদ্রনীল। সেখানেই দেখা যাচ্ছে কিবোর্ড বাজিয়ে ‘মানিকে মাগে হিথে’ গানটি গাইছেন ইওহানি। আর তা দেখে, শুনে গানটি তোলার চেষ্টা করছেন হিরো আলম। রীতিমতো স্টুডিওতে এই গানটি রেকর্ড করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু দারুণ চেষ্টা করেও ইওহানির গাওয়া এই গানের সুর, তাল, লয়, ছন্দ কিছুতেই কব্জা করতে পারছেন না বাংলাদেশের এই শিল্পী। এমনকি উচ্চারণেও পিছলে পড়ছেন বারবার। একটি করে লাইন গাইছেন ইওহানি। সেই শুনে গাইছেন আলমও। কিন্তু বাংলাদেশের ওই শিল্পীর সেই গান শুনে হাসি চেপে রাখতে পারছেন না শ্রীলঙ্কার শিল্পী। শেষপর্যন্ত 'ছাত্র'-এর কাণ্ড দেখে হেসেই ফেলেন 'শিক্ষিকা'। শেষপর্যন্ত মনের দুঃখে 'তেল গেল ফুরাইয়া, বাতি গেল নিভিয়া' গান ধরলেন হিরো আলম। শেষপর্যন্ত দেখা যায়, হিরো আলমের এই কাণ্ড দেখে গানের স্কুলই বন্ধ হয়ে যায়। আর এই নিয়েই বেদম মস্করা জুড়েছেন রুদ্র।
আদতে এসবে কিছুই হয়নি। অর্থাৎ ইওহানি মোটেই হিরো আলমকে গান শেখাতে আসেননি। এই সিংহলি ও বাংলাদেশের দুই শিল্পীর আলাদা গান গাওয়ার ভিডিওর কোলাজ করে নিজের ইনস্টাগ্রামের দেওয়ালে আপলোড করেছেন রুদ্রনীল। সঙ্গে ভিডিওর ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘মানিকে মাগে হিথে সঙ্গীত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।’ তবে এই ভিডিওটা কী রুদ্রনীলই বানিয়েছেন? সেকথা অবশ্য জানা যায়নি।