মনীষা কৈরালা এবং শাহরুখ খান একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন ‘দিল সে’ সিনেমায়। ১৯৯৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন প্রীতি জিন্টাও। একসঙ্গে অভিনয় করার সুবাদেই শাহরুখের সঙ্গে বেশ ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয়েছিল মনীষার। কেরিয়ারের প্রথম দিকে মনীষাকে সবদিক থেকে কীভাবে শাহরুখ সাহায্য করতেন, এই কথাই সম্প্রতি বললেন মনীষা।
পিঙ্কভিলাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে পুরনো দিনের কথা স্মৃতি রোমন্থন করে মনীষা কৈরালা বলেন, ‘শাহরুখ প্রথম দিন থেকেই আমার ভীষণ ভালো বন্ধু। আমার মনে আছে, তখন শাহরুখ থাকত মাউন্ট মেরি অ্যাপার্টমেন্টে। আমরা সকলে শাহরুখের ফ্ল্যাটে যেতাম এবং গল্প গুজব করতাম। আমি শাহরুখের একবার দুই বছর আগে মুম্বই এসেছিলাম, কিন্তু প্রথম দিন থেকেই আমাদের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল।’
আরও পড়ুন: কখনও আমিষ-মদ ছোঁননি! ৫১ বছর বয়সেও দুর্দান্ত ফিটনেস সোনু সুদের,রইল সিক্রেট ডায়েট
আরও পড়ুন: মুম্বই মেরি জান! মায়ানগরীকে ঘিরে ট্রিলজির ভাবনা ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’ খ্যাত পায়েল কাপাডিয়ার
মনীষা বলেন, ‘মুম্বইয়ে ফ্ল্যাট কেনার পরামর্শ আমাকে শাহরুখই দিয়েছিল। ও বলত যেহেতু আমরা মুম্বাইয়ের বাইরে থেকে এসেছি, তাই মুম্বইতে একটি ফ্ল্যাট থাকলে তবেই আমাদের জোর থাকবে। কাজের ক্ষেত্রেও সমস্যা হবে না। উল্লেখ্য, একদিকে যেমন শাহরুখ মনীষাকে বাড়ি কেনার জন্য উৎসাহিত করেছিলেন, ঠিক তেমনি নিজে কঠোর পরিশ্রম করে গৌরীকে মান্নাত উপহার দিয়েছিলেন।’
মান্নত প্রসঙ্গে শাহরুখ
মান্নাত প্রসঙ্গে একবার শাহরুখ বলেছিলেন, ‘আমি দিল্লি থেকে এসেছি। দিল্লিবাসীরা সবসময় বড় বাড়িতে থেকেই অভ্যস্ত হয়। খুব স্বাভাবিকভাবেই মুম্বইয়ে যখন প্রথম একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকি, আমার ভালো লাগেনি। শুধু তাই নয়, আমার শাশুড়ি মাঝে মাঝেই আমাকে বলতেন, কীভাবে এত ছোট বাড়িতে থাকি আমরা? তখন থেকেই আমি একটি বাংলো কেনার কথা চিন্তা ভাবনা করি।’
তবে মান্নাত শাহরুখ কিনেছিলেন শুধুমাত্র গৌরীর জন্য। মন্নত কেনার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য রাত দিন এক করে দিয়েছিলেন শাহরুখ, কিন্তু নিজের স্বপ্ন পূরণ থেকে পিছপা হননি। বর্তমানে মুম্বইয়ের একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে এই বাড়িটি।
আরও পড়ুন: ডাক্তার পরিবারের ছেলে, আর টুয়েলভথ পাস নয়! ইঞ্জিনিয়ারের ডিগ্রি হাতে পেলেন কার্তিক
আরও পড়ুন: শিবপ্রসাদ-জিনিয়াকে কুরুচিকর আক্রমণ, অনুরাগীদের কাণ্ডকারখানায় অবশেষে মুখ খুললেন সুপারস্টার দেব
শুধু মনীষা কৈরালাকে নয়, শাহরুখ তাঁর প্রত্যেক বন্ধুকেই এইভাবে প্রতিটি পদে সাহায্য করেছেন। বুঝিয়েছেন, স্বপ্ন কীভাবে দেখতে হয়। স্বপ্ন যদি বড় হয়, তাহলে আপনার জীবনেও ঠিক সেই ভাবেই বড় হয়ে যাবে। শাহরুখের এই দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই তিনি এতটা জনপ্রিয়।