এটি তাঁর জীবনের চতুর্থ জাতীয় পুরস্কার এবং এবার গুলমোহর ছবির জন্য মনোজ বাজপেয়ীর জন্য এটি একটি বিশেষ উল্লেখ বলা যায়। হিন্দুস্তান টাইমসের তরফে এই সুখবর তাঁকে জানানো হলে তিনি বলেন, ‘বাহ! সেরা হিন্দি ছবিও! আমাকে এখনই আমার পরিচালক রাহুল ভি চিটেলাকে ফোন করতে হবে, আমি আমার জন্য প্রত্যাশাও করিনি। তিনি এই সম্মানের যোগ্য, তিনি একটি জটিল পারিবারিক ব্যবস্থার মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে এত সুন্দর একটি চলচ্চিত্র তৈরি করেছেন।’
তিনি এই সত্যটি মিস করেন না যে কেবল গত কয়েক বছরে তাঁর কঠোর পরিশ্রম নজর এড়াতে শুরু করেছে, ‘এটি এখন ঘটছে। এমন পারফরম্যান্স এবং চলচ্চিত্র রয়েছে যা স্বীকৃত হয়নি এবং এমন সময় ছিল যখন জিনিসগুলি নজরে আসছিল না।’
আরও পড়ুন: (আরজি কর কাণ্ডকে বলেন ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’, জনতার রোষে মেয়ে সানা! ফের মুখ খুললেন সৌরভ)
বাজপেয়ীর যাত্রা একটি অনুপ্রেরণামূলক ছিল, বছরের পর বছর ধরে তিনি যে পক্ষপাতদুষ্টতা প্রকাশ করেছেন তা তাঁকে কাটিয়ে উঠতে হয়েছিল। এই জাতীয় পক্ষপাত প্রাথমিকভাবে ওটিটি রিলিজের দিকেও প্রসারিত হয়েছিল। গুলমোহর সোজা ওটিটিতেই মুক্তি পায়। কোন কিছু কোথায় মুক্তি পায় তার ভিত্তিতে লোকেরা যে বিভাজন তৈরি করে সেই নিয়ে সম্বোধন করে তিনি আরও বলেন, ‘যারা বৈষম্যমূলক আচরণ করেছেন, তাঁরা চলচ্চিত্র এবং অভিনেতা এবং পরিচালকদের কাজ দ্বারা হুমকি ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন। তাঁরা আতঙ্কিত বোধ করছেন এবং এটি তাদের জন্য খুব স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু তাঁরা ব্যর্থ হন, কারণ ভালো কাজ ভালো কাজই হয়। খবরটি আমাকে জানানোর জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। আমি নিশ্চয়ই আগের জন্মে ভালো কিছু করেছি।’
সিদ্ধার্থ কান্ননকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মনোজ বাজপেয়ী সম্প্রতি সুশান্ত সিং রাজপুতের বিষয়ে কথা বলেন।মনোজ বাজপেয়ী এদিন জানান তাঁর সঙ্গে কথা হওয়ার মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই মারা যান সুশান্ত। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমার ওর সঙ্গে দেখা হওয়ার মাত্র ১০ দিন পরেই ওর মৃত্যু হয়। আমি খুব চমকে গিয়েছিলাম। আমি তো এখনও বিশ্বাস করতে পারি না যে সুশান্ত আর ইরফান আর বেঁচে নেই। দুজনেই বড্ড তাড়াতাড়ি চলে গেল। ওদের সুসময় আসা বাকি ছিল।'