১৯৯৮ সালে মুক্তি পাওয়া ক্রাইম ঘরানার ছবি সত্যর কথা মনে আছে? মনোজ বাজপেয়ীর কেরিয়ারের সেই হিট কাজের পর তিনি ভেবেছিলেন এবার বুঝি তিনি তাঁর পছন্দ মতো কাজ বাছতে পারবেন। নিজের ইচ্ছে মতো কাজ করতে পারবেন। কিন্তু ওই বলে না, আমরা ভাবি এক, আর হয় আরেক! এক্ষেত্রেও তাই হল! সত্যর পর থেকে পরিচালকরা তাঁকে ভিলেনের চরিত্রের জন্য বাছতে শুরু করলেন। খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য অফার আসতে শুরু করল তাঁর কাছে। কিন্তু তিনি যে তাতে মোটেই স্বচ্ছন্দ ছিলেন না!
রাম গোপাল ভার্মার ছবি সত্যতে মনোজ বাজপেয়ীকে ভিকু মহাত্রের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল। এই চরিত্রটা ছিল মুম্বইয়ের এক গ্যাংস্টারের। আর সেই চরিত্রটাই রাতারাতি তাঁকে যেমন খ্যাতি, পরিচিতি এনে দিয়েছিল, তেমনই দারুণ জনপ্রিয় হয়েছিল চরিত্রটা।
ম্যাশাবেলকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানান কীভাবে সত্যর সাফল্যের পরেও যে ভালো কাজের তিনি প্রত্যাশা করেছিলেন সেটা পাননি। তাঁর কথায়, 'ইন্ডাস্ট্রির সবাই ভাবতে শুরু করেছিল একটা নতুন ভিলেন পাওয়া গেল। আমার মধ্যে সবাই সেই খলনায়ককে দেখতে শুরু করেছিল। কিন্তু আমি ঠিক করে নিয়েছিলাম আমি আর খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করব না। তাই সত্যর পর আমায় প্রায় ৮ মাস কাজ না করে বসে থাকতে হয়েছিল। আমার কাছে কোনও কাজ ছিল না। আমি বহু অফার পেতাম, কিন্তু সব খলনায়কের আর বড় বড় তারকাদের বিপরীতে। কিন্তু আমার মাথায় তখন অন্য কিছু চলছিল। ব্যাপারটা কঠিন হলেও অত টাকা এবং কাজ দুই প্রত্যাখ্যান করে চলছিলাম যা আমার কাছে সত্যর আগে কোনওটাই ছিল না।'
তিনি আরও বলেন, 'আমি জানতাম না যে আমি সেই সময় ঠিক ছিলাম নাকি ভুল। কিন্তু আমি জানতাম আমি কী চাই, আর আমি কী করব। আমি আমার মনের কথা শুনে মুম্বই এসেছিলাম। এখানে আমি আমার পছন্দমতো কাজ করেই রোজগার করত চেয়েছিলাম।'
অভিনেতা আরও জানান, যতই সত্য ব্যাপক সাফল্য পাক না কেন তবে সেটার কারণে তাঁর জীবনে হঠাৎ করে কোনও পরিবর্তন আসেনি। এই ছবির আট মাস পর তিনি তাঁর প্রথম গাড়ি কিনেছিলেন। আর প্রথম বাড়ি কিনেছিলেন ৬ বছর পর।