বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা তিনি। কাজের ব্যস্ততা থাকেই, তবু তারই মাঝে পরিবারকেও সময় তো দিতেই হয়। আর পাঁচজন সাধারণের মতো মুদি দোকানের কেনাকাটা, সবজি বাজারও মাঝেমধ্যে করতেই হয় অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ীকে। আর সবজি কেনার সময় সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে ওঠে আসা মনোজ অনেকসময়ই দর কষাকষি করে ফেলেন। আর তাতেই সবজিওয়ালাদের থেকে জোটে 'বকুনি'।
সম্প্রতি ম্যাশেবল ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনই নানান বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী। আর এসব নিয়ে ও স্ত্রী শাবানা রাজার প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন তিনি।
ঠিক কী বলেছেন মনোজ?
দরদাম করে সবজি কেনেন কিনা জানতে চাইলে সম্মতি প্রকাশ করে মনোজ বাজপেয়ী বলেন, ‘আব ডাট দেবে হ্যায় সবজিওয়ালা মুঝে। বো লোগ বলতে হ্যায়, ‘ইয়ে আচ্ছা নেহি লাগ রহা স্যার’। (সবজিওয়ালারা তো আমার কাণ্ডে বকেই দেয়। এসব কিন্তু ঠিক নয় স্যার)। পরিস্থিতি সামাল দিতে মনোজের কথায়, ‘আমি তখন ওদের বলি, আমি আসলে প্র্যাকটিস (অনুশীলন) করছি। আমার স্ত্রী শাবানা আবার এধরনের আচরণ একেবারেই পছন্দ করে না। ও তখন এমন ভাব করে, যেন আমায় ও চেনেই না।’
মনোজের কথায়, ‘আমার স্ত্রী আসলে বেশি চলে এমন জিনিস ব্যবহার করতেই পছন্দ করেন। মুদিখানার জিনিসপত্র কেনাকাটার আমার বউ প্লাস্টিকের ব্যাগের পরিবর্তে কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করতেই পছন্দ করেন। শবানা শহরের যে প্রান্তেই যান না কেন কম ও ঠিকঠাক দামে জিনিস পাওয়া যাবে, এমন দোকানে যেতেই ও পছন্দ করে। ও আসলে খুবই সাশ্রয়ী।’
মনোজ আরও বলেন, 'এমনকি আমরা যখন আমেরিকা যাই, তখনও অন্য কেউ কিনুক বা না কিনুক, শাবানাকে থ্রিফ্ট স্টোরে (সাশ্রয়ী দোকান) যেতেই হবে। তিনি শহরের প্রতিটি দোকানে যান। শাবানার জন্য যত থ্রিফ্ট স্টোর (সাশ্রয়ী দোকান) খুঁজে বের করা আমার কাজ।
মনোজের ছবি
প্রসঙ্গত কাজেরক্ষেত্রে মনোজ বাজপেয়ীকে শেষ দেখা গিয়েছে ‘ভাইয়া জি’ ছবিতে। ,