২৫ বছরের ওপর বলিউডে কাটিয়ে ফেলেছেন মনোজ বাজপেয়ী। এইমুহূর্তে দেশের অন্যতম বলিষ্ঠ অভিনেতার নামের তালিকায় একেবারে ওপরের দিকে রয়েছে তাঁর নাম। জনপ্রিয় তো তিনি বটেই। বলিউডে শুরুর যাত্রাটা মোটেই সহজ ছিল না তাঁর কাছে। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর বলিউডে নিজের মাটি শক্ত করেছেন তিনি। তবে এমন একটা সময় এসেছিল, নিজের জীবন শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন অভিনেতা।
১৯৯৮ সালে ববি দেওলের সঙ্গে 'কারীব' ছবির মাধ্যমে রুপোলি পর্দার দুনিয়ায় পা রাখেন তিনি। এরপর তাঁকে হৃত্বিক রোশনের বিপরীতে 'ফিজা' ছবিতেও দেখা গেছিল। বিহারের প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে মনোজ বাজপেয়ী। একসময় পড়াশোনা করতে দিল্লি এসেছিলেন। এরপরই সিনেমার প্রতি আকর্ষণ তৈরি। অভিনয় করবেন বলে পাড়ি দিয়েছিলেন মুম্বই। যাত্রার প্রথমটা মোটেই সুগম ছিল না অভিনেতার কাছে। তবে ওটিটিতে বাজিমাত করে তাঁর একাধিক ওয়েব সিরিজ। ‘ফ্যামিলি ম্যান’, ‘রে’-এর মতো সিরিজে অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করেছেন। আরও পড়ুন: Manoj Bajpayee: এক বছরে হারালেন পরিবারের তিন সদস্যকে, প্রয়াত মনোজের শাশুড়ি মা
কেরিয়ারের শুরুর দিকে ভবিষ্যতে কী করতে চান তিনি, জীবনের নানা অস্থিরতা ঘিরে ধরেছিল মনোজের জীবনে। তাঁকে অকর্মণ্য ভাবতে শুরু করেছিল ঘনিষ্ঠরা। চিঠি পাঠিয়ে বাড়ির লোকদের কাছে নিজের অস্থিরতার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। পরিবারের তরফ থেকে কোনও উত্তর মেলেনি। সেই সময় অভিনেতা স্থির করেন জীবন শেষ করে দেবেন। তবে তার এই মনের অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৭। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে উঠেছিল, অভিনেতাকে পাহারা দিতে তাঁর সঙ্গে রাত জাগতে হত বন্ধুকে।
পুরোপুরি একজন পরিবারকেন্দ্রিক মানুষ মনোজ। ২০০৬ সালে মনোজের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন শাবানা। বর্তমানে মনোজ এবং শাবানা এক কন্যা সন্তানের অভিভাবক। তাঁদের পরিবারের দশ বছরের খুদে সদস্যার নাম আভা নায়লা। বর্তমানে সফলতার শিখরে রয়েছেন অভিনেতা।