বছরের শুরু থেকেই পরিচালক এবং ফেডারেশনের মধ্যে একটি দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের হস্তক্ষেপে সাময়িক সমাধান হলেও পুরোপুরি সমাধান যে হয়নি, তা বোঝা গেল পরিচালকদের পুরনো গিল্ডে ফিরে যাওয়া দেখে। কেন হঠাৎ নতুনকে ছেড়ে পুরনো স্থানে ফিরে যাচ্ছেন পরিচালক? আনন্দবাজার অনলাইনকে কী জানালেন সংগঠনের সম্পাদক শুভম?
ইস্ট ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শুভম বলেন, আমাদের এই সংগঠন বহুদিনের পুরনো। সত্যজিৎ রায়, অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়, তরুণ মজুমদার, তপন সিংহের মতো একাধিক নামিদামি পরিচালকরা এই সংগঠনের সদস্য ছিলেন একসময়। পাঁচ বছর আগে ভিন্ন মতের কারণেই নতুন পরিচালক সংগঠনের জন্ম হয়েছিল। নতুন সংগঠনে বহু পরিচালক যোগ দিয়েছিলেন ঠিকই কিন্তু আবার তাঁরা ফিরে আসছেন পুরনো গিল্ডে।
আরও পড়ুন: গঙ্গাসাগরে দেখনদারি জৌলুস নেই, তাই কুম্ভ-মুখী সবাই! বিরক্ত সুদীপা বললেন, 'সবটাই এখন হুজুগ...'
শুভম আরও বলেন, বেশ কিছু পরিচালক ফিরে এসেছেন। তবে তারা এসেছেন তাদের নাম তালিকা দেখে বলতে হবে। তবে এই মুহূর্তে আমাদের সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫০। এখানে শুধুই সিনেমার পরিচালকরা রয়েছেন, তাই হয়তো অনেকে ফিরে এসেছেন। যারা এসেছেন তাঁদের প্রত্যেককে আমরা স্বাগত জানাই।
নতুন ছেড়ে পুরনোয় ফিরে আসার কারণ
নতুন গিল্ডে সদস্য হতে গেলে দিতে হয় মোটা অংকের টাকা, যেখানে মাত্র হাজার টাকায় পুরনো গিল্ডে সদস্য পরিচয় পত্র পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, ফেডারেশন নাকি আগামী দিনে পুরনো গিল্ডের সদস্যদের সমর্থন জানাবেন, নতুন সংগঠনের সদস্য পরিচয় পত্রকে মান্যতা দেবে না ফেডারেশন। নতুন গিল্ডে বড় পর্দা থেকে ছোট পর্দার পরিচালকদের সংখ্যা বেশি, যেখানে পুরনোয় রয়েছেন শুধুই বড় পর্দার পরিচালকরা।
আরও পড়ুন: ‘মুখ কালো করে শহরে ঘোরান…’, রণবীরের কথায় ক্ষুব্ধ শক্তিমান, কী বললেন মুকেশ খান্না?
আরও পড়ুন: 'অঙ্কে কাঁচা ছিলাম, আজও আছি', পরীক্ষার আগে খুদেদের সাহস দিতে কী কী টিপস দিলেন দীপিকা?
নতুন ফেডারেশনের সভাপতি সুব্রত সেন বলেন, পুরনো গিল্ডে পরিচালকরা ফিরে যাচ্ছেন, এমন খবর এখনও পর্যন্ত আমার কাছে নেই। সভাপতি কথা বললেও সম্পাদক সুদেষ্ণা রায় এড়িয়ে গেছেন সংবাদমাধ্যমকে। অন্যদিকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিচালক বলেন, কোথায় যোগ দেবো সেটাই বুঝতে পারছি না। কোন সংগঠনে থাকলে মসৃণ ভাবে কাজ হবে বোঝা যাচ্ছে না। নতুন একটি ছবি তৈরি করতে চলেছি, তারমধ্যে এই সমস্যা সত্যি দ্বিধার মধ্যে ফেলে দিচ্ছে।