সদ্যই ৫৭ তে পা দিলেন বলিউডের ‘হিরো নম্বর ১’। জন্মদিন উপলক্ষে মুম্বইতে নিজের বাড়িতে জমকালো পার্টির আয়োজন করেছিলেন তিনি। তবে অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁর কৌতুকরস এবং নাচের স্কিল-এর জন্যও তিনি ভক্তদের কাছে খুব প্রিয়।
১৯৮৫ সালে ‘তন বদন’ ফিল্মে দিয়ে বলিউডে জার্নি শুরু করবার দু-বছরের মধ্যেই সুনীতা আহুজাকে বিয়ে করে নেন গোবিন্দা। ১৯৮৭ সালের ১১ মার্চ বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা।
কিন্তু বলিউডে কান পাতলে শোনা যায়, একাধিক অভিনেত্রীর সঙ্গে নাম জড়িয়েছে গোবিন্দার। বিয়ের আগে ১৯৮৬ সালে ‘ইলজাম’-ছবির সহ অভিনেত্রী নীলম কোঠারির সঙ্গে অভিনেতার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে সে সময় জোর চর্চা হয়েছিল। এমনি জানা যায়, গোবিন্দা নীলমের প্রেমে এতটাই পাগল ছিলেন যে তাঁকে বিয়ে পর্যন্ত করতে চেয়েছিলেন। তবে পরিবাররে আপত্তিতে সম্পর্কে শীলমোহর পড়েনি শেষ পর্যন্ত। এরপরেই মায়ের কথা মতো সুনীতার সঙ্গে বিয়ের করে নেন তিনি।
তবে সবচেয়ে বেশি যে নায়িকার সঙ্গে অভিনেতার নাম জড়িয়েছিল তিনি হলেন, আজকের মিসেস আদিত্য চোপড়া, রানি মুখোপাধ্যায়। ‘হদ কর দি আপনে’ ছবির সহ অভিনেত্রী রানি মুখোপাধ্যায়ের প্রেমে পাগল হয়ে উঠেছিলেন গোবিন্দা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে অভিনেতার দাম্পত্য সম্পর্ক ভাঙতে বসেছিল।
ইন্ডাস্ট্রিতে সেই সময় বেশ কয়েকটি ছবি করে ফেলেছিলেন রানি। হদ কর দি আপনে-র শ্যুটিং চলছিল কখনো ভারতের বাইরে সুইজারল্যান্ডে, আবার কখনো মার্কিন মুলুকে। শ্যুটিং চলাকালীন বিদেশে দুজনকে প্রায়ই একসঙ্গে দেখা যেত। মশালা.কমের রিপোর্ট অনুসারে একদিন সকালে রানির হোটেল রুমে নাইট ড্রেসে দেখা গিয়েছিল গোবিন্দাকে। এর পরই তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে চর্চা শুরু হয়। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সন্তানদের নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সুনীতা।
তবে শোনা যায় বনি কাপুরের মতো স্ত্রী,সন্তানদের ছেড়ে রানিকে বিয়ে করতে রাজি ছিলেন না গোবিন্দা। তার জেরেই নাকি সম্পর্কে ইতি টানেন রানি। প্রায় দু-দশক ধরে দূরত্ব বজায় রেখে চলেছেন এই দুই বলি তারকা। মিডিয়ার সামনে রানি দাবি করেছেন, তিনি এবং গোবিন্দা খুব ভালো বন্ধু, তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছাড়া কিছুই কোনওদিন ছিল না। স্ত্রী সুনীতা ও দুই সন্তানকে নিয়ে সুখী গৃহকোণ গোবিন্দার। অন্যদিকে মেয়ে আদিরাকে নিয়ে আদিত্য চোপড়ার সঙ্গে জমিয়ে সংসার করছেন রানি মুখোপাধ্যায়।