ফ্যাশন ডিজাইনার মাসাবা গুপ্তা এবং তাঁর স্বামী-অভিনেতা সত্যদীপ মিশ্র তাঁদের মেয়ের নাম রেখেছেন ‘মাতারা’। সোমবার ইনস্টাগ্রামে লোরি উপলক্ষে ‘মাতারা’ নামটি প্রকাশ করলেন মাসাবা। সঙ্গে সন্তানের নামের অর্থও আনলেন সামনে।
মাতারা-র সঙ্গে ছবি দিলেন মাসাবা
৩ মাস বয়স হওয়া পর মাসাবা তাঁর কন্যার আংশিক ঝলক দেখলেন। বিছানায় শুয়ে থাকা শিশুটির হাতের একটি ছবি পোস্ট করলেন তিনি। মেয়ের হাতের পাশে হাত রেখেছিলেন মাসাবাও। তিনি একটি চুড়ি পরেছিলেন, যাতে ‘মাতারা’ শব্দটি খোদাই করা ছিল।
আরও পড়ুন: কবে এত ভালো নাচ শিখলেন অরিজিৎ! ডবল ধামাকা আহমেদাবাদ কনসার্টে, ভাইরাল ভিডিয়ো
নামের অর্থ কী
মেয়ের ছবি শেয়ার করে মাসাবা লিখেছেন, ‘আমার মাতারার (টিউলিপের ইমোজি) সঙ্গে তিন মাস। নামটি ৯টি হিন্দু দেবীর ঐশ্বরিক নারীসুলভ শক্তিকে মূর্ত করে, তাদের শক্তি এবং জ্ঞান উদযাপন করে। এছাড়াও, আমাদের নয়নের মণি।’
আরও পড়ুন: বিয়ে না করে বাবা, ‘সমকামী’ নিয়ে শোনেন কটাক্ষ! কার সঙ্গে প্রেম করছেন এখন, নাম জানালেন করণ জোহর
মাসাবা এবং সত্যদীপ গত বছরের অক্টোবরে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এই দম্পতি সেই সময় তাঁদের সন্তানের পায়ের এক ঝলক-সহ একটি যৌথ ইনস্টাগ্রাম পোস্টের মাধ্যমে তাদের শিশু কন্যার আগমনের কথা ঘোষণা করেছিলেন। এপ্রিলে মা হতে চলার খবর দিয়েছিলেন মাসাবা।
মাসাবা সম্পর্কে
মাসাবা সম্পর্কে বর্ষীয়ান অভিনেতা নীনা গুপ্তা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ভিভিয়ান রিচার্ডসের মেয়ে। তিনি ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে অভিনেতা সত্যদীপ মিশ্রকে বিয়ে করেছিলেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ৩টি ছবি পোস্ট করে নিয়েছিলেন মাসাবা সন্তান আসার খবর শেয়ার করে। আর ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘আমাদের সংসারে ছোট্ট দুটো পা পর্দাপণ করার অপেক্ষায়। দয়া করে আমাদের ভালবাসা, আশীর্বাদ আর কলার চিপস পাঠাবেন। তবে হ্যাঁ এগুলো নোনতা হতে হবে।’ আর এই খবরে নীনা লেখেন, ‘আমার সন্তানের কোলে সন্তান আসছে। এর থেকে ভালো খবর আর কী হতে পারে।’
গায়ের কালো রং নিয়ে ট্রোল
এক সাক্ষাৎকারে মাসাবাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, কীভাবে গর্ভাবস্থায় তাঁকে রোজ একটি করে রসগোল্লা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কারণ এতে নাকি তাঁর গর্ভের সন্তান ফরসা হবে। এই নিয়ে ডিজাইনার-অভিনেত্রীর বক্তব্য ছিল, ‘‘আমি এমন একটি শিশুকে বড় করব, যার মধ্যে এগুলো সহ্য করার ক্ষমতা তৈরি হবে। তাছাড়া আর তো কিছুই করার নেই। কারণ এগুলো কখনোই ঠিক হওয়ার নয়। কত লোক কালো মেয়েদেদের কালি বলে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করে। ভাববে না, সমাজের উঁচুস্তরে হয় না। আপনি অবাক হয়ে যাবেন যে কত শিক্ষিত, বিত্তবান, সুশিক্ষিত মানুষও এরকম মনে করেন। আমি আজ পর্যন্ত তার সাক্ষী। এটা ২০২৪ সাল, এবং এখনও পরিবর্তন হয়নি।’’