করোনায় থমকে রয়েছে ফিল্মের শ্যুটিং। ব্যাপক ক্ষতির মুখে গোটা দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। এই রকম সংকটজনক পরিস্থিতিতে কেরলে মিন্নাল মুরালি ছবির বিশাল সেট ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল একদল যুবক। অভিযোগ তাঁরা সকলেই অতি- হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্য। ফেবসুকে সেই সেট ধ্বংসের ছবিও পোস্ট করা হয়েছে তাঁদের তরফে! ঘটনায় স্তম্ভিত প্রশাসন। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
সোমবার প্রশাসনের তরফে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে, সিটের নেতৃত্বে রয়েছে এরনাকুলামের এসপি (রুরাল) কে কার্তিক। অভিযোগ তোভিনো থমাস অভিনীত ওই মালায়ালাম ছবির সেট ধ্বংস করেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন অন্তরাষ্ট্র হিন্দু পরিষদ (AHA)। ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রীয় বজরং দল সংগঠনের এক জেলাস্তরের নেতাকে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইপিসির বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ফিল্মের সেটটি ছিল একটি চার্চের রেপ্লিকা। কেরালার এরনাকুলাম জেলার পেরিয়ার নদীর তীরে কালাডিতে তৈরি করা হয়েছিল এই বিশালাকার সেট। যার অদূরেই রয়েছে একটি মহাদেবের মন্দির। রবিবার এই ফিল্মের সেট হাতুড়ি দিয়ে গুঁড়িয়ে দিল একদল যুবক। পরে সেই ছবি নিজের ফেসবুকের দেওয়ালে পোস্ট করেন অন্তরাষ্ট্র হিন্দু পরিষদ কেরালার সাধারণ সম্পাদক হরি পালেয়াট্টার।
অগস্ট মাসে মুক্তির তারিখ নির্দিষ্ট ছিল মিন্নাল মুরালি ছবির,তবে করোনার জেরে ছবির শ্যুটিং বন্ধ হয়ে যায়। এবার ছবির সেট ধ্বংস হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে প্রযোজকরা।ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর তরফে এই হামলার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। এবং দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিজেপি এবং আরএসএস।
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, এই নিন্দনীয় কাজে যুক্ত সকলের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। অন্যদিকে ছবির পরিচালক বাসিল জোসেফ জানান, মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি নিয়েই ওই চার্চের রেপ্লিকা তৈরি করা হয়েছিল। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে হামলাকারীদের ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে।ছবির সেটে ধর্মীয় সংগঠনের তান্ডব কোন নতুন ঘটনা নয়। এর আগে রাজস্থানে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল সঞ্জয় লীলা বনশালির পদ্মাবতের সেট। আহত হয়েছিলেন পরিচালকও।