(সূত্র : চ্যানেল আই অনলাইন)
আর্টহাউস চলচ্চিত্রের বিশ্বসেরা স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘মুভি ডটকম’। জ্যঁ লুক-গদার, ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা, মার্টিন স্করসেসি, কোয়েন্টিন টারান্টিনো, রোমান পোলানস্কি, ডেভিড ফিঞ্চার, ফ্রাঁসোয়া ক্রুফোর মতো খ্যাতনামা পরিচালকের সিনেমা রয়েছে এই প্ল্যাটফর্মে। এই ছবিগুলির পাশে জায়গা করে নিয়েছে ভারত-বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় তৈরি ছবি ‘মায়ার জঞ্জাল’।
বিশ্বের অবিশ্বাস্য সুন্দর ও আকর্ষণীয় সিনেমার তালিকায় রাখা হয়েছে ‘মায়ার জঞ্জাল’কে। একই সঙ্গে বিভিন্ন উৎসবে ছবিটির অর্জন এবং কলাকুশলীদের তালিকা উল্লেখ রয়েছে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি ছোটগল্প অবলম্বনে তৈরি এই ছবি। পরিচালকের আসনে রয়েছেন ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী। ছবিটির মাধ্যমে অনেক বছর পর বড় পর্দায় দেখা যাবে অভিনেত্রী অপি করিমকে। তাঁর বিপরীতে রয়েছেন অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী। আরও রয়েছেন সোহেল মণ্ডল, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, চান্দ্রেয়ী ঘোষ।
ছবিটির প্রযোজনায় ওপার বাংলার জসীম আহমেদ। ‘দাগ’, ‘অ্যা পেয়ার অব স্যান্ডেল’ ও ‘চকোলেট’-এর মতো একাধিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি পরিচালনা করে দেশ-বিদেশে খ্যাতি পেয়েছেন তিনি। প্রযোজক জসীম আহমেদ জানান, তাঁর প্রযোজিত ‘মায়ার জঞ্জাল’ ছবির মুক্তি উপলক্ষে কলকাতার শিল্পীদের ঢাকায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আরও পড়ুন: ৩৯ হাজারি লেহেঙ্গায় মেহেন্দি অনুষ্ঠানে আথিয়া, দেখুন সঙ্গীত অনুষ্ঠানের ঝলক
জসীম আহমেদ বলেছেন, ‘চিনের মর্যাদাসম্পন্ন সাংহাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের এশিয়ান নিউ ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ডের অফিসিয়াল সিলেকশনে ‘মায়ার জঞ্জাল’ ছবিটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়। এর ইউরোপিয়ান প্রিমিয়ার হয় মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ফিল্মস অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড বিভাগে। এরপর ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় জোগজা-নেটপ্যাক এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের এশিয়ান পার্সপেক্টিভস বিভাগে আমন্ত্রণ পায় ছবিটি’।
ইতালির রোমে এশিয়াটিকা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের প্রতিযোগিতা বিভাগ ‘এনকাউন্টার উইথ এশিয়ান সিনেমা’য় বেস্ট ফিচার ফিল্ম জুরি অ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাজ্যের লন্ডনে রেইনবো চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা চলচ্চিত্র এবং ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এশিয়ান কমপিটিশনে প্রতিযোগিতা করে চিত্রনাট্যের জন্য পুরস্কার পেয়েছে ‘মায়ার জঞ্জাল’। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে ভিউস অ্যান্ড ভিশনস এবং কলকাতার প্রতিষ্ঠান ফ্লিপবুক। ফেব্রুয়ারিতে দুই বাংলায় একসঙ্গে মুক্তি পাবে ছবিটি।
উল্লেখ্য, ফরাসি নির্মাতা ফ্রসোয়া ক্রুফোর ‘দ্য ফোর হান্ড্রেড ব্লোজ’ (১৯৫৯), হংকংয়ের নির্মাতা ওঙ কার-ওয়াই পরিচালিত ‘ফলেন অ্যাঞ্জেল’ (১৯৫৫), আমেরিকান নির্মাতা জোয়েল কোয়েন ও এথান কোয়েনের ‘নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেন’ (২০০৭), ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার ‘গডফাদার পার্ট ওয়ান’ (১৯৭২) ও ‘গডফাদার পার্ট টু’ (১৯৭২), মার্টিন স্করসেসির ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’ (১৯৭৬), কোয়েন্টিন টারান্টিনোর ‘পাল্প ফিকশন’ (১৯৯৪) ও ‘রেজারভয়ার ডগস’ (১৯৯২), ডেভিড ফিঞ্চারের ‘ফাইট ক্লাব’ (১৯৯৯), ফ্রান্স-ব্রাজিলের যৌথ প্রযোজনায় ফের্নান্দো মেইরেলিস ও কাতিয়া লুন্দ পরিচালিত ‘সিটি অব গড’ (২০০২), ফরাসি নির্মাতা জ্যঁ-লুক গদারের ‘ব্রেথলেস’ (১৯৬০), পোল্যান্ডের নির্মাতা রোমান পোলানিস্কির ‘চায়না টাউন’ (১৯৭৪)-এর মতো ছবি রয়েছে মুভি ডটকমে।