সুশান্ত সিং রাজপুত মামলার মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই প্রমাণ খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে তিনটি কেন্দ্রীয় সংস্থা-সিবিআই, ইডি এবং নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। অভিযুক্ত নায়িকার বিরুদ্ধে ড্রাগ পাচার এবং ড্রাগের ব্যবসা করবার অভিযোগেও উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু থেকেই সুশান্তের মৃত্যুর জন্য রিয়ার দিয়ে অভিযোগের আঙুল তুলে আসছেন প্রয়াত অভিনেতার ভক্তরা। এবার তিনটি কেন্দ্রীয় সংস্থার সাঁড়াশি চাপে রিয়া।
এবার মিডিয়ার উপর অভিযোগের আঙুল তুললেন রিয়া। নায়িকার দাবি, তাঁর বিল্ডিংয়ের ওয়াচম্যান এবং বাবা ইন্দ্রজিত্ চক্রবর্তীকে নাকি আহত করেছে সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা। সঙ্গে সেই সিকিউরিটি গার্ডের একটি ভিডিয়োও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন অভিযুক্ত রিয়া।কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই পোস্ট ডিলিট করে দেন রিয়া।
রিয়া লেখেন, 'রাম আমার বিল্ডিংয়ের ওয়াচম্যান গত ১০ বছর ধরে। ও আহত হয়েছে। ওকে আঘাত দিয়েছে মিডিয়া। সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা আমার বিল্ডিংয়ের কম্পাউন্ডে ঢুকে পরে এবং সিকিউরিটি গার্ড ও বাবাকে আহত করেছে'।
তিনি যোগ করেন, দয়া করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নজরে আনুন, এই বিল্ডিংয়ে অনেক বয়স্ক মানুষ এবং শিশুরা থাকেন। না এই সিস্টেমেই আমরা বাস করি?
অপর একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে রিয়া মুম্বই পুলিশের কাছে সুরক্ষা দাবি করেন। লেখেন, রিয়ার মতে ‘আমার এবং আমার পরিবারের জীবন সংকটে।…আমি অনুরোধ করছি মুম্বই পুলিশকে দয়া করে আমাদের সুরক্ষা দেওয়া হোক। যাতে আমরা তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করতে পারি'।
রিয়ার আবদনে সাড়া দিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যেই রিয়ার বিল্ডিংয়ে হাজির হয় সান্তাক্রুজ থানার পুলিশ। এবং মুম্বই পুলিশের সুরক্ষার মধ্যেই ইডির দফতরের উদ্দেশে রওনা দিয়ছেন ইন্দ্রজিত্ চক্রবর্তী। আজই ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার জন্য ইন্দ্রজিত্ চক্রবর্তীকে সমন পাঠিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
বৃহস্পতিবার সকালে এক সর্বভারতীয় চ্যানেলে রিয়ার সাক্ষাত্কার দেওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসবার পর থেকেই নতুন করে আক্রমণের মুখে রিয়া। সুশান্তের দিদি শ্বেতা সিং কীর্তিও প্রকাশ্যে এই ঘটনাকে ‘১৩০ কোটি ভারতীয়র গালে থাপ্পড়’ বলে উল্লেখ করেছেন। প্রশ্ন তুলেছেন কীভাবে একজন অভিযুক্ত এইভাবে জাতীয় টেলিভিশনে বসে সাক্ষাত্কার দিতে পারে।
১৪ জুন সুশান্তের বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্তের দেহয ২৫ জুলাই বিহারের রাজীব নগর পুলিশ থানায় রিয়া ও তাঁর পরিবারে বিরুদ্ধে সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া, প্রয়তাের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা সহ একাধিক অভিযোগ এনে এফআইআর দায়ের করেন কেকে সিং।