অল্পের জন্য হোটেলে আটক হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার তুতো বোন মীরা চোপড়া এবং অভিনেতা তনুজ অগ্নিহোত্রী। তাঁদের সহ-অভিনেতা ফ্রেডি দারুওয়ালা-সহ হিন্দি ছবি ‘গুড্ডু কি গার্লফ্রেন্ড’-এর ১৫০ জন কাস্ট ও ক্রু মেম্বারদের আটকে রাখা হয় বেনারসের এক হোটেলে। প্রযোজকের টাকা শেষ, তাই হোটেলের আটক করে রাখা হয় কলাকুশলীদের।
জানা গিয়েছে জি-এর জন্য এই ছবি তৈরি করা হচ্ছিল। বর্ষীয়ান অভিনেতা সুকেশ আনন্দও এই ছবির অংশ, তিনিও ফেঁসে ছিলেন হোটেলে। কোনওক্রমে ছাড়া পেয়ে অভিনেত্রী নূপূর আলঙ্কারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন অভিনেতা। এরপর উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে টুইটারে ট্যাগ করে সাহায্য চান নুপূর। জানা গিয়েছে, নূপূর টুইট করবার আগে পর্যন্ত পুলিশে খবর দেওয়া হয়নি ওই ছবির কলাকুশলীদের তরফে। অভিনেতা সুকেশ আনন্দ জানান, ‘এখনও গোটা টিমের আটজন সদস্যকে হোটেলে আটকে রাখা হয়েছে। সেটা মেনেও নিতে হবে, কারণ তাঁদেরই দায়িত্ব ছিল। দেখুন প্রযোজকের টাকা শেষ হয়ে গেলে তার দায় তো অভিনেতা বা টেকনিশিয়ানদের নয়’।
ছবির লিড তারকা তনুজ বীরওয়ানি জানান, ‘আমি শুনেছি এই ঘটনা সম্পর্কে, তবে মীরা আর আমি আগেই ফিরে এসেছি, তাই এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানি না’। উল্লেখ্য রতি অগ্নিহোত্রীর ছেলে তনুজ।
সূত্রের খবর, গত তিন-চার ধরেই ছবির শ্যুটিং থমকে ছিল। এবং হোটেলেই বন্দি ছিলেন মীরা-তনুজ। শ্যুটিং কবে শুরু হবে সেই নিয়ে প্রযোজক কোনও সদুত্তোর দিচ্ছিলেন না। তারপরই হোটেল থেকে চেক-আউট করে বেরিয়ে যান দুজনে। কিন্তু টিমের বাকি সদস্যরা বেনারসের অন্যত্র ছিলেন, খেসারত হিসাবে হোটেল কর্তৃপক্ষের হাতে আটক হন তাঁরা।
প্রযোজক ইলিয়াস সৈয়দের সঙ্গে শত চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। জবাব মেলেনি ছবির পরিচালক রোহিতের তরফেও। বোধহয় টাকা জোগাড়ে ব্যস্ত প্রযোজক-পরিচালক জুটি! উল্লেখ্য, মাস কয়েক আগেই ওড়িশায় অরিন্দম শীলের ‘খেলা যখন’ ছবির শ্যুটিংয়ে গিয়েও হোটেল বিল বকেয়া সংক্রান্ত জটলিতা তৈরি হয়েছিল। তিন ক্রু মেম্বারকে প্রায় দু-দিন হোটেল কর্তৃপক্ষে আটকে রেখেছিল। পরে সাফাই দিয়ে প্রযোজক জানান, ‘হোটেল কর্তৃপক্ষ যা বকেয়া বলেছিল তার ৮০ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার সংস্থা বিল রিচেকের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় চেয়েছিল। কোনও কারণে তারা ভুল বোঝে এবং শ্যুটিং ইউনিটের লোকজনকে আটকে রাখে। যদিও বাকি টাকা দিয়ে, এমনকী অতিরিক্ত পাওনা মিটিয়ে তাদের কলকাতা ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে'।