একুশের বিধানসভা ভোটে হাইভোল্টেজ প্রার্থীদের মাঝে নজড় কাড়ছেন বামপন্থীদের একঝাঁক তরুণ তুর্কী। তৃণমূল ও বিজেপির প্রার্থী তালিকায় যেখানে টলি সেলেবদের ছড়াছড়ি, তখন CPI(M)-এ তুরুপের তাস দীপ্সিতা ধর ,মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, ঐশী ঘোষের মতো এই প্রজন্মের নেত্রীরা। রবিবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় বালি ও নন্দীগ্রামের সংযুক্ত মোর্চার দুই প্রার্থীকে নিয়ে একটি কুরুচিকর মিম। সেই মিমের পালটা জবাবও নিয়েছেন দীপ্সিতা, মীনাক্ষীরা। তবে শুধু তাঁরাই নয়, নেটিজেন থেকে সেলেবরা- সকসেই এই নিন্মরুচির মিম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
'মিমতন্ত্র' নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে প্রথম সেই মিমটি শেয়ার করা হয়। যেখানে বিজেপির দুই তারকা প্রার্থী পায়েল সরকার ও শ্রাবন্তী এবং তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী ও নুসরতের সঙ্গে তুলনা টানা হয়েছে দীপ্সিতা ধর ও মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের। তারকা প্রার্থীদের কাছে গ্ল্যামারের ছটার কাছে অনেকটা পিছিয়ে মীনাক্ষী-দীপ্সিতারা, তাই কটাক্ষ করে তাঁদের ‘কাজের মাসি’ বলা হয়েছে।
সেই মিম থেকে ফুঁসে উঠেছেন বামমনস্ক অভিনেত্রী হিসাবে পরিচিত শ্রীলেখা মিত্র। তিনি ফেসবুকের দেওয়ালে লেখেন, ‘ওই সো কলড সেক্সি ননদ,বৌদি,দিদি, বোনকে এক লাখ দিয়ে গুন করে একটা মীনাক্ষী বা দীপ্সিতা তৈরি করুক দেখি। তবে মুরোদ বোঝা যাবে। এটাতেে আবার এদের কর্দয রুচির পরিচয় পাওয়া গেলো। খেলা হবে আর রগড়ে দবে যাদের ভাষা তাদের থেকে এছাড়া আর কী হবে?’
অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী আবার অন্যরকমভাবে এই মিমের প্রতিবাদ জানালেন। তিনি এদিন ফেসবুকের দেওয়ালে পরিচয় করিয়ে দেন তাঁর বাড়ির কাজের মাসির সঙ্গে। তিনি পোস্টে তুলে ধরেন এই ব্যক্তিটিকে ছাড়া কতখানি অকেজো তাঁর সাজানো সংসার। স্যালুট জানান পৃথিবীর সব ‘কাজের মাসি’দের।
বামপন্থায় বিশ্বাসী অপর টেলিভিশন তারকা জিতু কমলও ফেসবুকের দেওয়ালে লেখেন, 'নিজেদের বয়স এতো কমাবেন না.. মাসি" না বলে দিদি, বোন বা কমরেড বলতেই পারতেন.. বাকিটা ঠিকঠাকই আছে.. "কাজের"…"কাজের কমরেড"।
এই মিম নজর এড়িয়ে যায়নি দীপ্সিতারও। তিনিও এই মিমের প্রতিবাদে ফেসবুকের দেওয়ালে লেখেন, 'ওরা কি ভেবে লিখেছে, কেন লিখেছে তার জবাব দেওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। কথা হলো, যে শ্রেণীর লড়াই আমরা লড়ি তাদের সাথে, তাদের দাবীদাওয়ার সাথে মানিয়ে নিতে আমাদের কখনই অসুবিধা হয় না। আমাদের নির্বাচনের সময় মমতা ব্যানার্জী-র মত মিথ্যার বেসাতি করে বলতে হয় না- "আপনার বাড়ির বাসন মেজে দেব"। গৃহপরিচারিকাদের জন্য, লকডাউনে তাদের বেতনের জন্য, তাদের সুরক্ষার প্রশ্নে দাবীদাওয়ার লড়াই বামপন্থীরা করেছে ও করবে।
এই মিম নজর এড়িয়ে যায়নি দীপ্সিতারও। তিনিও এই মিমের প্রতিবাদে ফেসবুকের দেওয়ালে লেখেন, 'ওরা কি ভেবে লিখেছে, কেন লিখেছে তার জবাব দেওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। কথা হলো, যে শ্রেণীর লড়াই আমরা লড়ি তাদের সাথে, তাদের দাবীদাওয়ার সাথে মানিয়ে নিতে আমাদের কখনই অসুবিধা হয় না। আমাদের নির্বাচনের সময় মমতা ব্যানার্জী-র মত মিথ্যার বেসাতি করে বলতে হয় না- "আপনার বাড়ির বাসন মেজে দেব"। গৃহপরিচারিকাদের জন্য, লকডাউনে তাদের বেতনের জন্য, তাদের সুরক্ষার প্রশ্নে দাবীদাওয়ার লড়াই বামপন্থীরা করেছে ও করবে।
|#+|