হাঙ্গামা (২০০৩), ধুম (২০০৪), দিওয়ানে হুয়ে পাগল (২০০৫), ফির হেরা ফেরি এবং গোলমাল: ফান আনলিমিটেড (২০০৬) - এর মতো কিছু জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করেছেন রিমি সেন। সলমন খানের নায়িকা হিসাবেও দর্শক ‘কিঁউ কি’ ছবিতে দেখেছে তাঁকে। কিন্তু এরপর বলিউড থেকে গায়েব হয়ে যান রিমি। আরও পড়ুন-'সবাই ঠগ-জোচ্চর’, বন্ধু ভেবে কার কাছে ৪ কোটি খোয়ালেন রিমি সেন? মামলার তদন্তে এখন CID
মাঝে সলমন খান সঞ্চালিত বিগ বিসে যোগ দিয়ে লাইমলাইটে উঠে এসেছিলেন নায়িকা। সম্প্রতি ফের চর্চায় এই বাঙালি নায়িকা। নেপথ্যে এক প্রতারণার মামলা। ৪২ বছর বয়সী অভিনেত্রীকে ঠকিয়ে ৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এক ‘কনম্যান’। আপতত থানা-পুলিশ করে দিন কাটছে রিমির।
অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ওই জালিয়াত এক ধনী ব্যবসায়ী হওয়ার ভান করেছিলেন এবং ২০২০ সাল থেকে তাঁর কাছ থেকে কিছু অংশে ৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন, চড়া সুদে ওই টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধীরে ধীরে নানা অজুহাত দেখাতে শুরু করেন। দাবি করেন তার পরিবার কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে এবং তারপর তাকে কানাডায় যেতে হবে। কিছুদিন আগে পুলিশে অভিযোগ জানান রিমি, তিনি জানিয়েছেন শীঘ্রই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে।
এই আইনি জটিলতার মাঝেই রিমির কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল এখন আর কেন শোবিজ জগতে দেখা যায় না থাকে? অভিনেত্রীর সপাট জবাব,'কমেডি ছবিতে কাজ করে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। সেখানে আমার খুব একটা বেশি কিছু করার মতো চরিত্র থাকত না। এক কোণায় ফার্নিচারের মতো দাঁড়িয়ে থাকাই ছিল কাজ। হাঙ্গামা এবং জনি গদ্দার (২০০৭) এর মতো কয়েকটি ছবিতে আমার ভাল চরিত্র ছিল, আমি সেই ধরণের কাজই করতে চেয়েছিলাম'।
২০১৫ সালে রিয়েলিটি শো বিগ বসের জন্য পুনরায় চর্চায় উঠে এসেছিলেন রিমি। কিন্তু বিগ বসের ঘরেও বেশিদিন থাকতে চাননি রিমি। অক্ষয় কুমার, জন আব্রাহাম, সলমন খান এবং অজয় দেবগণের মতো এ-লিস্টারদের সাথে কাজ করেছেন তিনি। এখনও কি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে? রিমি বলেন, ‘আমি না কারও কাছে সাহায্য চাইতে পারি না। যতক্ষণ আপনি পায়ে লুটিয়ে পড়ে সাহায্য না চাইছেন, কেউ পাশে দাঁড়ায় না। অন্যরা কেন নিজের স্বার্থ খুঁজবে না? কেন কেউ কাউকে সাহায্য করতে এগিয়ে যাবে?’
কখনও কি কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন রিমি, যেখানে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছিল শেষ মুহূর্তে? কিংবা অন্যের বিরাগভাজন হওয়ায় তাঁর রোল ছেঁটে ফেলা হয়েছিল? তিনি বলেন, ‘এই ইন্ডাস্ট্রিতে ঝুঁকি অনেক বেশি। প্রতিভা পরে আসে - আপনাকে প্রথমে মানুষকে কীভাবে পরিচালনা করতে হয় তা জানতে হবে। অন্যথায় আপনার কিছু হবে না। প্রতিভা স্টোর রুমে তালাবন্ধ হয়ে পড়ে থাকবে। আমি বেচতে পারিনি, পিআরটা ঠিকভাবে করতে পারিনি’।