বাংলা টেলিভিশনের অতি পরিচিত মুখ নবনীতা দে। ‘খোকা বাবু’, ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ থেকে বর্তমানে ‘মেয়েবেলা’, ‘রাঙা বউ’-- একাধিক জনপ্রিয় মেগায় তাঁর অসাধারণ অভিনয় মন ছুঁয়েছে সকলের। মেয়ে-স্বামীকে নিয়ে সুখী গৃহকোণ মউ-এর মানির। কিন্তু বছর খানেক আগে নবনীতার জীবনে এসেছিল ঝড়। যা এক ঝটকায় বদলে গিয়েছিল তাঁর জীবন। প্রথম স্বামীকে হারানোর পর পায়ের নীচ থেকে জমি সরে গিয়েছিল অভিনেত্রীর। সেই তিক্ত স্মৃতি একবার দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে ভাগ করে নিয়েছেন তিনি।
দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে বছর দুয়ের আগে নবনীতা তাঁর বিধবা হওয়ার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন নবনীতা। কাঁদতে কাঁদতেই জানান, ‘গঙ্গার ঘাট থেকে আমি যখন তাঁর শেষকৃত্য করে উঠি তখন আমার পাশে শ্বশুরবাড়ির কোনও লোক ছিল না। এত দিন যাঁরা আমায় এত কথা শুনিয়ে এসেছিলেন, আমায় দোষারোপ করে এসেছিলেন তাঁরা কেউ ছিলেন না। আমি তখন একটাই কথা মনে মনে বলছিলাম, তুমি এত দিন আমার দিকে আঙুল তুলে এসেছ, কিন্তু এখন আমি আর মেয়ে ছাড়া আর কেউ নেই।’
হ্যাঁ, নবনীতার মেয়ের বয়স এখন ৯। প্রথম স্বামীর মৃত্য়ুর পর নবনীতার জীবনে আসেন বিশেষ একজন মানুষ। যিনি নবনীতা ও তাঁর মেয়েকে আপন করে নিয়েছেন। নবনীতার দ্বিতীয় স্বামী টেলিপাড়ার পরিচিত মুখ। ২০২০ সালের জুলাই মাসেই সই-সাবুদ করে অভিনেতা রাজা চট্টোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন নবনীতা। রাজার সঙ্গেও অনেক বার দিদির মঞ্চে এসেছেন নবনীতা। তাঁর কথায়, ‘আমার কাজ নিয়ে শুধু রাজা নয়, আমার শ্বশুরবাড়ির সবাই খুব সাপোর্টিভ। শাশুড়ি-ননদ সবাই আমাকে খুব সাপোর্ট করে’। মেয়ের সঙ্গেও দারুণ বন্ডিং তাঁর দ্বিতীয় স্বামীর। অভিনেত্রী স্পষ্ট বলেন, ‘আমি শুরুতেই বলে দিয়েছিলাম আমার মেয়ে এই সম্পর্ক না মানলে আমার কিছু করার নেই, কিন্তু দেখলাম দুজনের দারুণ বন্ডিং’।
জি বাংলার ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’-সিরিয়ালে গায়েত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন নবনীতা। সেই সিরিয়ালের কলাকুশলীদের সঙ্গেই এসেছিলেন রচনার গেম শো-তে। নবনীতার কথার ফাঁকেই সহ-অভিনেত্রী মানসী সিনহাকে বলতে শোনা গেল, ‘আমরা সবাই চিনি রাজাকে, খুব ভালো ছেলে। ভালো বর পেয়েছে'।
রাজার কথায় নবনীতা ভীষণ অগোছানো, তবে একটু একটু করে নিজের জীবনটা গুছিয়ে নিয়েছেন নবনীতা। তাঁর ও রাজার একটি জিমও রয়েছে নেতাজিনগরে। অভিনয়ের পাশাপাশি সেই ব্যবসাও দেখেন তাঁরা।