মাত্র কয়েকদিন আগেই স্টার জলসায় নতুন ধারাবাহিক মেয়েবেলা শুরু হয়েছে। বীথি এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে মৌয়ের সম্পর্ক, তাঁর মায়ের ইতিহাস নিয়ে এই গল্প। আপাতত ভাবে যে চরিত্রগুলো দেখা যাচ্ছে তাঁদের অনেকের সঙ্গেই যে নানা রহস্য, অতীতের অন্ধকার দিক লুকিয়ে আছে সেটার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তার মধ্যে একটি রহস্যের উদঘাটন হল আজ।
কিছুদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে মিত্র বাড়ির ছেলে ডোডোর সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু চাঁদনির বিয়ে হওয়ার কথা থাকা সত্বেও একটি বিপদের কারণে সেই বিয়ে ভাঙতে বসেছে। আর এই বিপদ থেকে মিত্র বাড়িকে রক্ষা করতে এগিয়ে এসেছেন মৌয়ের মশাই, তথা মেশো। তবে তিনি শর্ত দিয়েছেন যে তিনি তখনই টাকা দেবেন যখন ডোডো মৌকে বিয়ে করবে। কিন্তু মৌ তাতে আপত্তি জানায়।
মৌয়ের কথায় জানা যায় তাঁর একবার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু সেই বিয়ে টেকেনি। প্রথমে তাঁর কথা শুনে মনে হয়েছিল বুঝি ছেলেটি তাঁকে ঠকিয়েছে, বা সুযোগ সুবিধা নিয়ে ফেলে পালিয়ে গিয়েছে। কিন্তু ১২ ফেব্রুয়ারির পর্বে দেখা গেল, এমন কিছু মোটেই নয়। বরং মৌয়ের প্রাক্তন স্বামী মারা গিয়েছেন।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই গল্পে যে একটা বড়সড় টুইস্ট এল সেটা বলাই যায়। গতকালের ধারাবাহিকে দেখানো হয় মাত্র ১৮ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে, সবাইকে লুকিয়ে অমিতাভর সঙ্গে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করেন মৌ। কিন্তু বিয়ের রাতেই তিনি মারা যান। না, অমিতাভ তাঁকে ঠকায়নি, বরং তাঁকে স্বপ্ন দেখিয়ে, একসঙ্গে পথ চলার কথা বলেও এই আকস্মিক দুর্ঘটনার কারণে সেটা রাখতে পারেননি। অমিতাভর মৃত্যুর পর তাঁর মা মৌকে বাড়ি নিয়ে যেতে চাননি। তিনি জানান, মৌয়ের গোটা জীবন বাকি, তিনি কেন ওঁর ছেলের জন্য বাকি জীবন নষ্ট করবেন?
এখানে দেখা যায়, অমিতাভর মা একজন চিকিৎসক, যিনি কিনা আবার চাঁদনির সিনিয়র। ফলে সকলের সঙ্গে সকলের একটি লিংক বেরিয়েই আসে। অন্যদিকে পরিবারকে বাঁচাতে, লেবারদের মুখের দিকে তাকিয়ে মৌয়ের সঙ্গে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ সাড়েন ডোডো। কিন্তু তিনি সম্পূর্ণ অন্ধকারে থেকে যান মৌয়ের অতীত সম্পর্কে। ফলে আগামীতে যে এখান থেকে নতুন জটিলতা, নতুন গল্পের জন্ম হবে সেটা স্পষ্ট।
নতুন চমক আসায় দর্শকরা দারুণ খুশি। রোজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এই ধারাবাহিক দেখা যাচ্ছে জলসায়। বহুদিন পর এই ধারাবাহিকের হাত ধরে ছোটপর্দায় ফিরে এসেছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। এছাড়া প্রধান চরিত্রে দেখা যাচ্ছে অর্পণ ঘোষাল এবং স্বীকৃতি মজুমদারকে।