বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > কীভাবে সিঙাড়া দিয়ে তাঁকে ‘কেনা’ সম্ভব, ভিডিয়ো পোস্ট করে জানালেন মিয়া খলিফা

কীভাবে সিঙাড়া দিয়ে তাঁকে ‘কেনা’ সম্ভব, ভিডিয়ো পোস্ট করে জানালেন মিয়া খলিফা

মিয়া খলিফা। (ছবি সৌজন্য টুইটার ভিডিয়ো)

কীভাবে তাঁকে ‘কেনা’ সম্ভব, ভিডিয়ো বার্তায় জানালেন মিয়া।

প্রাক্তন পর্ন স্টার মিয়া খলিফা, মডেল আমান্ডা সেরনি, কবি রুপি কৌর এবং কানাডার সংসদের সদস্য জগমিত সিং কৃষক বিক্ষোভের জেরে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। এবার চারজনই টুইটারে করা ট্রোলগুলো নিয়ে সমালোচনা করেছেন। আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের বিষয় নিন্দা করার জন্য তাঁরা অর্থ নিয়েছেন। টুইটারে সেই সকল নিন্দুকদের নিয়ে মুখ খুলেছেন তাঁরা। 

মিয়া টুইট করে আমান্ডা সেরনিকে ট্যাগ করে লিখেছেন, তাঁদের যদি ভারত সরকারের তরফে টাকা দেওয়া হত, তবে কী তাঁরা ‘#ad’ ব্যবহার করতেন না? তাছাড়া, তিনি নতুন SEC নিয়ম মিস করছেন, যা তাঁদের বাদ দিয়েছেন বলে জানান। উল্লেখ্য, খালিফা সেই সব ব্যক্তিদের মধ্যে পড়েন যাঁরা ভারতীয় কৃষক আন্দোলনকে সমর্থনের জন্য নির্দিষ্ট এক গোষ্ঠীর কাছে থেকে কোনও প্রমান ছাড়াই টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এরপরই টুইট করে আমান্ডা সেরনি। তিনি লেখেন, ‘এটা বিরক্তিকর। আমার কিছু প্রশ্ন আছে.. কে আমায় টাকা দিচ্ছে? আমায় কত টাকা দেওয়া হয়েছে? চালানটা আমি কাকে পাঠিয়েছি? আমায় কখন টাকা দেওয়া হবে? আমি অনেক টুইট করেছি… আমি কি বেশি টাকা পেতে পারি?'

এরপরই কবি রুপি কৌর কথোপকথনের মাঝে লেখেন। এরপর মিয়াঁ খালিফা লেখেন যে তিনি নাকি ভারতীয় রেস্তোরাঁ থেকে খাবার অর্ডার করে এই টাকা আবার ফেরত দিয়ে দেবেন।

এরপরই রুপি কৌর টুইট করেন, 'রাতের খাওয়ারের বিবরণ মেসেজ করতে'। এরপরই দৃশ্যে আসেন জগমিৎ সিং। তিনি এর উত্তরে বলেন, মিষ্টি খাওয়ানোর কথা।

অন্যদিকে, সমস্ত সমালোচনার জবাবে টুইটারে খাবার খাওয়ার ভিডিয়ো পোস্ট করলেন মিয়া। ভিডিয়োটিতে মিয়া খালিফা বলেন, ‘পরিশ্রম করে সেই টাকায় খাবার খেতে পারলে খুব ভাল লাগে। আমি দারুণ ডিনার করছি। রুপিকে ধন্যবাদ আমার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের পর এই খাবার পাঠানোর জন্য। জগমিতকেও ধন্যবাদ এই দারুণ গোলাপ জামুনগুলো পাঠানোর জন্য। আর আমি সবাইকে মনে করে দিতে চাই যে প্রত্যেক কাজের মূল্য আছে। আমার ক্ষেত্রে সেটা সিঙাড়া। মানে আমায় সিঙাড়া দিয়েই কিনে ফেলা সম্ভব, ভুলে যাবেন না। বাকিদের কথা বলতে পারব না। আমার পক্ষে এটা যথেষ্ট।’

প্রাক্তন পর্নস্টার জানান, তিনি বুঝতেই পারেন না খাওয়ার শেষেই কেন গোলাপজাম খাওয়া হয়। যে কোনও সময় ‘সুইট ব্রেক’ তো নেওয়াই যায়। কথা শেষ করেই মুখে পুরে নেন পছন্দের মিষ্টি। এছাড়া, ডিনার প্লেটের ছবি পোস্ট করেন কৃষকদের সমর্থনে। ক্যাপশনে লেখেন, ‘কৃষকদের সমর্থনে।’

বন্ধ করুন