বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Mika Sing: মিকার নামে শ্লীলতাহানির ‘মিথ্যে’ মামলা? গায়ককে খালাস করল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত

Mika Sing: মিকার নামে শ্লীলতাহানির ‘মিথ্যে’ মামলা? গায়ককে খালাস করল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত

শ্লীলতাহানির মামলায় মিকা সিং-কে খালাস করল আদালত। (ছবি-ইনস্টাগ্রাম)

এক মডেলের অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের জুলাই মাসে ভারসোভা থানায় মামলাও দায়ের করা হয়েছিল মিকা সিং-এর নামে। ১৯ জানুয়ারি সেই মামলা থেকে খালাস পেলেন গায়ক।

আন্ধেরির একটি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গত সপ্তাহে গায়ক মিকা সিংকে শ্লীলতাহানির মামলা থেকে খালাস করেছে। মডেলিং অ্যাসাইনমেন্ট এবং চলচ্চিত্রে কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘সুবিধে নেওয়ার’ অভিযোগ উঠেছিল মিকার উপরে। এক মডেলের অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের জুলাই মাসে ভারসোভা থানায় মামলাও দায়ের করা হয়েছিল। 

সেই মামলা থেকে মিকাকে খালাস করা হল ১৯ জানুয়ারি। কারণ সেই মডেল আদালতকে জানান যে তিনি মামলাটি এগিয়ে নিতে চান না। বিরোধীপক্ষের কাছ অবশ্য গায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল না প্রমাণ করার মতো। আরও পড়ুন: যা বাহুবলী-কেজিএফ পারেনি তা করে দেখাল পাঠান, চার দিনে ভারতের বাজারে আয় ২০০ কোটি

আদালতে নিজের জবানবন্দিতে ওই মহিলা বলেছিলেন, ঘটনাটি ২০১৬ সালের জুলাইতে এর একটি সকালে মিকা সিংয়ের অফিসে ঘটেছিল। ওই মহিলা আরও দাবি করেছিলেন যে, ঘটনার আগে তিনি এবং গায়ক নয় বছর ধরে ভালো বন্ধু ছিলেন।

ওই মহিলার আদালতকে জানিয়েছিলেন ঘটনার দিন সকালে তিনি মিকা সিং-এর বাড়িতে যান। এবং সেখানে চাকর মারফত জানতে পারেন যে মিকা বাড়িতে নেই বরং রয়েছে স্টুডিয়োতে। তিনি এরপর সোজা স্টুডিয়োতে চলে যান। এরপর দেখেন স্টুডিয়োর দরজা বন্ধ। কোনও নিরাপত্তারক্ষী নেই। জানলা দিয়ে প্রবেশ করে ভিতরে মিকাকে দুই বন্ধুর সঙ্গে ঘুমোতে দেখেন। আরও পড়ুন: নীলের সঙ্গে বিচ্ছেদের খবর কি সত্যি? ডিভোর্স নিয়ে মুখ খুললেন তৃণা

এরপরই সেখানে ঝগড়া বাঁধে দুজনের স্টুডিয়ো খোলাকে কেন্দ্র করে। আর কথার পরিপ্রেক্ষিতে মিকা নাকি ওই মডেলের গায়ে হাতও তোলেন। তারপরই ওই মহিলা ১০০ ডায়েল করে মিকার নামে অভিযোগ দায়ের করে। মিকার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভারসোভা থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। 

নিজের বয়ানে ওই মডেল আরও অভিযোগ করেছিলেন, ঝগড়ার সময় মিকা তার চুল টেনেছিল, তাকে চপল দিয়ে আঘাত করেছিল এবং তার কাপড়ও টেনেছিল। পরে আদালতে মিকার আইনজীবীর তরফে সাওয়ালে ওই মহিলা স্বীকার করে নেন যে তিনি মিকার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা দাবি করে ম্যাসেজ করেছিলেন। তবে এটা মেনে নিতে চাননি যে সেই টাকা না দেওয়ার কারণেই মিথ্যে মামলা করেছেন মিকার নামে। এরপর আদালতকে ওই মহিলা জানিয়ে দেন যে তিনি আর মামলাটি এগিয়ে নিয়ে যেতে চান না। 

 

বন্ধ করুন