হোক না দু’জনের মধ্যে বয়সের বিস্তর ফারাক, তাতে কী বা আসে যায়? প্রেম থাকলে বয়সকে থোড়াই কেয়ার! সেকথা আগেই প্রমাণ করে দিয়েছেন মিলিন্দ সোমান ও অঙ্কিতা কোনওয়ার। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই জুটির প্রেমে মাখামাখি ছবি হোক বা কথোপকথন, সবসময়ই তা নেটিজেনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বৃহস্পতিবার নিজের মডেলিংয়ের দিনের একটি পুরোনো ন্যুড ছবি পোস্ট করেন মিলিন্দ। মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় সেই ছবি। ১৯৯১ সালে তোলা এই বিতর্কিত ছবিটি দিল্লির দ্য রিজে তোলা হয়েছিল সেটা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন মিলিন্দ। বন্য প্রকৃতির মাঝে বিবস্ত্র মিলিন্দ সোমান উবু হয়ে বসে রয়েছেন। এই ছবি চোখ টানবে যে কোনও নারীর। ছবি থেকে ঠিকরে পড়ছে সেক্স অ্যাপিল।
সুঠাম দেহ,বলিষ্ঠ চেহারার মিলিন্দ সোমান কেন সেই সময় ভারতীয় মডেলিংয়ের একচ্ছত্র অধিপতি ছিলেন সেই গল্পও বলে ২৯ বছর আগের এই ছবি! ঠিক যে বছর জন্মেছিলেন মিলিন্দ পত্নী অঙ্কিতা। এই ছবির কমেন্ট বক্সে সে কথা মনে করিয়ে অঙ্কিতা লেখেন, ‘প্রিয়, এই কারণেই তো আমি পৃথিবীতে এসেছিলাম’। স্ত্রীর এই কমেন্টের জবাব দিয়েছেন মিলিন্দও, তিনি লেখেন- ‘সবটাই তোমার জন্য’।
এই ছবি থেকে মিলিন্দের অনেক ভক্তও নিজেদের মনের অনুভূতি জাহির করেছেন, একজন লেখেন- 'বাহ! এই ছবিটার মধ্যেই একটা গোটা গল্প লুকিয়ে আছে, মনে হচ্ছে একটা তরুণ নেকড়ে প্রথম পরিবর্তনে মানব রূপ ধারণ করেছে, দেখতে দুর্দান্ত উষ্ণ এবং সুস্বাদু! চোখের আরাম এক কথার আর কী! তুমিই সেরা সোমান!'
এই ছবি প্রমাণ করে দেয় ফিটনেস ব্যাপারে কতটা সচেতন মিলিন্দ। বয়স শুধুই একটা সংখ্যা তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন। তাই তো ৫৪-তে তিনি তরুণ তুর্কি। শুধু মিলিন্দই নন তাঁর স্ত্রীও কম যান না। অঙ্কিতা কোনওয়ারও ফিটনেস ফ্রিক। দুজনেই হামেশাই সোশ্যাল মিডিয়ায় একসঙ্গে ফিটনেস ভিডিও বা ছবি শেয়ার করে থাকেন।
২০১৩ সালে চেন্নাইয়ের এক হোটেলে মিলিন্দের সঙ্গে প্রথম দেখা অঙ্কিতার। পাঁচ বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে বিয়ের পর্ব সারেন এই জুটি। মিলিন্দের থেকে বয়সে ২৪ বছরের ছোট অঙ্কিতা। তাই অঙ্কিতার পরিবারের তরফে প্রথমে আপত্তি ছিল এই বিয়ে নিয়ে, তবে প্রেম আর বোঝাপড়া থাকলে যে বয়সের পার্থক্য বিশেষ চিন্তার কারণ নয় তা প্রমাণ করে দিয়েছে দুজনের পাঁচ বছরের সুখী দাম্পত্য জীবন।