অবশেষে অপেক্ষার অবসান। রূপোলি পর্দায় ফিরছেন মিমি চক্রবর্তী। সাংসদ হওয়ার পর সিলভার স্ক্রিন থেকে দূরেই ছিলেন যাদবপুরের সাংসদ। শেষমেষ 'ড্রাকুলা স্যার' নিয়ে ভক্তদের সামনে হাজির হচ্ছেন মিমি। পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্যের এই ছবিতে মিমির সঙ্গে থাকছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। শুক্রবার ড্রাকুলা স্যারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সারল প্রযোজক সংস্থা ভেঙ্কটেশ ফিল্মস। পাশাপাশি এদিনই প্রকাশ্যে এল ছবির ফার্স্ট লুক পোস্টার।
নাম ড্রাকুলা স্যার হলেও এই ছবির বিষয় কিন্তু ভৌতিক নয়। পরিচালকের কথায় এটি একটি সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার। ছবিতে এক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকের ভুমিকায় দেখা মিলবে অনির্বানের। চরিত্রের নাম রক্তিম। সামনের দাঁত (ক্যানাইল টিথ) দুটি লম্বা হওয়ায় সবাই তাকে ডাকে ড্রাকুলা স্যার বলে। দেবলায় ভট্টাচার্য জানালেন, ‘ভ্যাম্পায়ার হতে গেলে তার(রক্তিমের) নিজের তো একটা গল্প প্রয়োজন, সে কারণেই ১৯৭১-এর প্রেক্ষাপট নিয়ে আসা। সেই গল্পের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মঞ্জরী, যে চরিত্রে অভিনয় করছেন মিমি। সে এক নিঃসঙ্গ, বিষন্ন নারী’। পরিচালক দেবালয়ের কথায়, পর্দায় আগে কখনও মিমির এই দিকটা তুলে ধরা হয়নি। তাই চিত্রনাট্য শুনে এক কথাতেই ছবির জন্য হ্যাঁ করেছেন যাদবপুরের সাংসদ।
পরিচালকের কথায় ড্রাকুলা স্যারের চরিত্রটির জন্য অনির্বান প্রথম এবং একমাত্র পছন্দ। ‘অনির্বান একজন আন্ডারডগের চরিত্র যতটা সাবলীলভাবে পর্দায় তুলে ধরে, একজন লার্জার দ্যান লাইফ চরিত্রেও ততটাই স্বচ্ছন্দ’ জানালেন পরিচালক দেবালয়।
বক্স অফিসে মিমির শেষ ছবি ছিল মন জানে না। এরপর রাজনৈতিক জীবন এবং নিজের মিউজিক ভিডিও নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন মিমি। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরসা দাশগুপ্তর বিবাহ অভিযান থেকেও সরে দাঁড়াতে হয়েছিল মিমিকে। তাই সাময়িক বিরতির পর ফের ঘরে ফেরা নায়িকার। অনির্বাণের সঙ্গে এর আগে ধনঞ্জয় ছবিতে কাজ করেছেন মিমি।
বিদায় ব্যোমকেশ পরিচালক জানালেন, ছোট থেকেই আমার ড্রাকুলা প্রীতি রয়েছে। ড্রাকুলা স্যার বাঙালি ড্রাকুলার গল্প খোঁজার জার্নি যার না আছে কোনও দুর্গ না আছে ঘোড়ার গাড়ি। এটা সেই রকম এক ড্রাকুলার ভালোবাসা খোঁজার গল্প, প্রতিশোধের গল্প।
ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন দেবালয় এবং কল্লোল লাহিড়ি। ক্যামেরার পিছনে থাকবেন ইন্দ্রনাথ মারিক। এই থ্রিলারের মিউজিকের দায়িত্বভার সামলাবেন সাকি এবং অমিত-ইশান জুটি। জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখ থেকে শুরু হবে ড্রাকুলা স্যারের শ্যুটিং।