নিজের প্রতিবাদী ভাবমূর্তির জন্য বরাবরই পরিচিত মিমি। শুধু সাংসদ বলেই নয় ছোট থেকে ডাকাবুকো স্বভাবের মেয়ে হিসাবেই লোকে চেনে তাঁকে। দিন কয়েক আগেই শহরের প্রকাশ্যে রাস্তায় ভরদুপুরে ট্যাক্সি চালক তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করায় সোজা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ। গতকালই আলিপুর আদালতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার ওই ট্যাক্সি চালকের বিরুদ্ধে গোপন জবানবন্দিও দিয়ে এসেছেন মিমি। আজ ফের টুইটারে ফুঁসে উঠলেন নায়িকা। এবার নিশানায় মার্কিন ফুড চেন সাবওয়ে।
মিমির অভিযোগ গত ১৬ সেপ্টেম্বর শ্যুটিংয়ের সময় ইকো-স্পেসের সাবওয়ে আউটলেট থেকে খাবার অর্ডার করেছিলেন তিনি। তবে যখন সেই অর্ডার হাতে পান তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় নায়িকার। যে সাবটি (সাবমেরিন স্যান্ডউইচ) তাকে পাঠানো হয়েছে তার উপর ছত্রাক জন্মে গিয়েছে। নিজের অভিযোগের প্রমাণ স্বরূপ বেশ কয়েটি ছবি পোস্ট করেন মিমি, সঙ্গে জুড়ে দেন নিজের অভিযোগের কপিও।
এদিন টুইটারে মিমি জানান, ‘সাবওয়ে থেকে খাবার অর্ডার দেওয়ার আগে দু-বার ভেবে দেখুন এবার থেকে। আমি এই খবারাটি পেয়েছি যখন ১৬ তারিখ আমি শ্যুটিং করছিলাম। ইকো-স্পেস কলকাতার সাবওয়ে থেকে অর্ডার দিয়েছিলাম এই ভাবে যে এখানে স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করা হয়’।
গোটা বিষয়টি কলকাতা পুরসভার খাদ্য দফতরকে জানিয়ে ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করেছেন মিমি। নায়িকা জানান, খাবারটির নমুনা, বিলসহ ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার খাদ্য দফতরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ‘আমি সবসময়ই অন্যায়ের প্রতিবাদ করি, তোমার একার আওয়াজ অনেকখানি পার্থক্য গড়ে দিতে পারে’।
সাবওয়েকে উদ্দেশ্য করে কড়া টুইট মিমির। তিনি বলেন,' কতদিন ধরে এইভাবে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের পরোয়া না করে পচা খাবার বিক্রি করছেন আপনারা? কাস্টমারদের জেরেই তো আপনাদের এই সাম্রাজ্য।
আমেরিকান ফাস্ট ফুড রেস্তোরাঁ সাবওয়ে বিশ্বের বৃহত্তম একক ব্র্যান্ড রেস্টুরেন্ট চেইন এবং বিশ্বব্যাপী বৃহত্তম রেস্টুরেন্ট অপারেটর হিসেবে পরিচিত। এইরকম নামী ফুড চেইনের তরফে এমন অবহেলা দেখে হতবাক নেটিজেনরা। অবিলম্বে এদের লাইসেন্স বাতিল করা দরকার, দাবি তাঁদের।