'কী করে তোকে বলবো' দিয়ে টলিউডে শুরু হয়েছিল অঙ্কুশ-মিমি জুটির পথচলা। দিন যত এগিয়েছে ততই মজবুত হয়েছে দুজনের বন্ধুত্ব। অন-স্ক্রিন দর্শকদের অন্যতম পছন্দের জুটি অঙ্কুশ-মিমি, অফ স্ক্রিনও এঁদের রসায়ন বরাবরই চোখ টানে। ইন্ডাস্ট্রিতে অঙ্কুশের সবচেয়ে কাছের বন্ধুদের অন্যতম মিমি। দুজনের খুনসুটিও সবসময়ই থাকে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। অঙ্কুশ-মিমির বন্ধুত্ব-ভালোবাসা-ঝগড়া সবটাই চলে সমান তালে। এই দুই তারকার মধ্যে একটা দারুণ মিলও রয়েছে, দুজনেই ফেব্রুয়ারি মাসে জন্মেছেন। ১১ ফেব্রুয়ারি মিমির জন্ম, আর অঙ্কুশের জন্মদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি। বৃহস্পতিবার মিমি চক্রবর্তীর জন্মদিন। স্বভাবতই গত রাতে ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছুঁতেই শুভেচ্ছার বন্যায় ভেসেছেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ। সোশ্যাল মিডিয়াতে মিমিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন টলিউডের বন্ধুরা। কে নেই সেই তালিকায়-নুসরত জাহান থেকে যশ দাশগুপ্ত। শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীও।
আর মিমির জন্মদিনে এবছর একদম সহজ-সরল শুভেচ্ছা জানালেন অঙ্কুশ। কোনওরকম লেগ পুল করা নয়, বাজে ছবি পোস্ট করা নয়। বলা যায় অঙ্কুশের শুভেচ্ছায় ক্লিন বোল্ড মিমি। নায়িকার সঙ্গে একটি সুন্দর ছবি পোস্ট করে লেখেন- ‘হ্যাপি বার্থ ডে মিমি’।
এই দেখে হয়রান মিমি চেপে রাখতে পারেননি নিজের মনের কথা। লিখে ফেলেন- ‘বাবা! আমার ভাগ্য আজ যে কমেন্টে কিছু নেই আর ছবিটা ভালো’। উল্লেখ্য, গত বছর জন্মদিনে মিমির উদ্দেশ্যে অঙ্কুশ লিখেছিলেন- 'আমি জানি তুই গোটা দুনিয়ার জন্য পরী, তবে আমার কাছে কিন্তু তুই আজীবন ড্রাকুলাই থাকবি'।
শেষবার ভিলেন ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন অঙ্কুশ-মিমি। অঙ্কুশের বিবাহ অভিযান ছবিতেও কাজ করার কথা ছিল মিমির। তবে লোকসভা ভোটের প্রচারে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় শেষ মুহূর্তে বিরসা দাশগুপ্তর এই ছবি থেকে সরে দাঁড়াতে হয় মিমিকে।