পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় করোনা আক্রান্ত হিসাবে উঠেছিল স্কটল্যান্ড ফেরত এক তরুণীর নাম। গত ১৮ মার্চ স্কটল্যান্ড থেকে কলকাতায় ফেরেন সেই তরুণী। পরের দিন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি হন হাবরার ওই তরুণী। ২০ তারিখ তাঁর শরীরে করোনার উপস্থিতির কথা জানা যায়। এরপর টানা যুদ্ধ চলেছে এই মারণরোগের সঙ্গে। ৩১ মার্চ সম্পূর্ন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে সে। এরপরেও একটানা চোদ্দ দিন বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকতে হয়েছে। সেই মানামী বিশ্বাসই করোনা যুদ্ধ জয়ের গল্প শোনাতে আসছেন লাইভে। সেই গল্প তিনি শোনাবেন অভিনেত্রী-সাংসদ মিমি চক্রবর্তীকে। শনিবার ইনস্টাগ্রামে এই খবর শেয়ার করে নিয়েছেন স্বয়ং নায়িকা। আগামিকাল অর্থাত্ ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টায় ইনস্টাগ্রাম লাইভে মানামী বিশ্বাসের সঙ্গে আলোচনা করবেন মিমি। এই প্রথম সরাসরি কোনও টলিউড তারকা কথা বলবেন করোনা যুদ্ধে জয়ীর সঙ্গে।
এ প্রসঙ্গে মিমি চক্রবর্তী জানিয়েছেন,মানামীর সাহসিকতায় তিনি উদ্বুদ্ধ। মনামীর অভিজ্ঞতা এবং টিপস পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে এই মহামারী সম্পর্কে আরও সচেতন করবে বলেই বিশ্বাস করেন মিমি। সেই কারণেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন নায়িকা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭১ জন, যাঁর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১০৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের।
করোনা সচেতনতার ক্ষেত্রে শুরু থেকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছেন মিমি। বাড়ি বসেই কখনও মাস্ক তৈরির পদ্ধতি, তো কখনও রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ানোর টিপস দিয়েছেন। সাংসদ হিসাবেও যাদবপুরবাসীর যেন এই সংকটের দিনে কোনও অসুবিধা না হয় সেই খেয়াল রাখছেন তিনি। চা কাকুর দায়িত্ব নিয়েছেন। অফিস কর্মীদের মাধ্যমে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন দুঃস্থ মানুষের কাছে। গোবিন্দপুরের একটি ফাউন্ডেশনের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু এবং এইচআইভি পজিটিভ শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে তত্পর হয়েছেন মিমি। করোনা পরিস্থিতিতে সারমেয়দের কথা ভেবে তাদের দিকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মিমি চক্রবর্তী। এখন দেখার মিমির এই নতুন প্রয়াস বাংলার মানুষকে করোনা নিয়ে কতখানি সেচতন করতে পারবে।