ভোট প্রচারের জন্য রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন মিমি চক্রবর্তী। ভোট-যুদ্ধে দলের অন্যতম হাতিয়ার যাদবপুরের তারকা সাংসদ। তাই দম ফেলবার জো নেই তাঁর। কখনও পিংলা,চন্দ্রকোণা আবার কখনও বারুইপুর, কিংবা পুরুলিয়া- সর্বত্রই দলীয় প্রার্থীদের হয়ে জোর কদমে প্রচার করেছেন মিমি।
আজ থেকে একুশের ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। রাজ্যের ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রে আজ প্রথম দফার ভোট গ্রহণ চলছে। গতকাল হুগলির পুরশুড়ায় দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে বেরিয়ে ছিলেন মিমি। হুড খোলা গাড়ি করে প্রচারের সময় আচমকাই একটা মাইকের মেশিন, অর্থাত্ সাউন্ড বক্স মিমির পায়ে পড়ে যায়। যার জেরে চোট পান অভিনেত্রী। তারকা সাংসদের পা রীতিমতো ফুলে লাল হয়ে যায়। তবে দমে যাওয়ার পাত্রী নন মিমি। প্রাথমিক শুশ্রূষার পর পায়ে চোট নিয়েই প্রচার শুরু করেন মিমি।
পুরশুড়ার কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দিলীপ যাদবের হয়ে প্রচার করতে এদিন চিলাডিঙ্গি এলাকায় হাজির ছিলেন মিমি। তাঁকে দেখতে ভিড় জমান স্থানীয় মানুষজন। ভিড় ঠেলেই গাড়ি ধীর গতিতে এগোচ্ছিল। কিন্তু আমচাই বিপত্তি ঘটে।গাড়িতে রাখা একটি সাউন্ড মেশিন ডান পায়ের গোড়ালির উপরে এসে পড়ে। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন, তবে ব্যাথা অল্প কমতেই ফের প্রচারে নেমে পড়েন মিমি। কাজ সেরে বিকালে হেলিকপ্টারে করে ফের কলকাতায় ফিরে আসেন যাদপুবপুরের তৃণমূল সাংসদ।
ইনস্টাগ্রামে নিজের চোটের ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘আমাকে অভিনন্দন’। মিমির পা যে ফুলে লাল হয়ে রয়েছে তা ছবিতেই স্পষ্ট। এখন কেমন আছেন তিনি? এই ব্যাপারে নায়িকা জানিয়েছেন, চিকিত্সকের পরামর্শ ইতিমধ্যেই নিয়েছেন তিনি। তবে ব্যাথা আপতত সঙ্গে থাকবে, তেমনই জানিয়েছেন ডাক্তার।
মিমির এই সাহসীকতাকে কুর্নিশ জানাচ্ছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। চোট পাওয়ার পরেও নির্দিষ্ট কর্মসূচীতে কোনওরকম হেরফের আনেননি মিমি। যাবতীয় কাজ শেষ করেন হাসিমুখে। পুরশুড়ার তৃণমূল প্রার্থী দিলীপ যাদবের কথায়, ‘আমি ওঁনার কাছে কৃতজ্ঞ ও অভিভূত। এইভাবে আমার হয়ে প্রচারে যোগ দেওয়ায় অশেষ ধন্যবাদ’।