নুসরত-মিমির বন্ধুত্বের গল্প ছিল টলিউডের জ্বলন্ত উদাহারণ, নায়িকারাও দারুণ বন্ধু হতে পারে তা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন দুজনে। তবে গত কয়েকমাসে হিসেব পালটে গিয়েছে। নুসরতের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে মিমির, আগের মতো মজবুত নয় দুই তারকা তৃণমূল সাংসদের সম্পর্ক। কাকতালীয়ভাবে নিখিলের সঙ্গে নুসরতের সম্পর্কে ভাঙন এবং যশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার বাড়তেই যেন কিছুটা দূরে সরে গিয়েছেন মিমি। নুসরত এখন অনেকবেশি ঘনিষ্ঠ শ্রাবন্তী,তনুশ্রীদের সঙ্গে। কয়েকদিন আগেই অন্তঃসত্ত্বা নুসরতের সঙ্গে তনুশ্রী-শ্রাবন্তীর ছবি ভাইরাল হয়েছিল। অন্যদিকে মিমি চক্রবর্তীর ইন্ডাস্ট্রির কাছের বন্ধু হয়ে উঠেছেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় ও পার্নো মিত্র।
নুসরতে লিভ-ইন- রিলেশন উদযাপনে তুরস্কে হাজির টলিউডের একমাত্র বন্ধু ছিলেন মিমি, বলা যায় কনে-পক্ষ হয়ে সবটা সামলেছিলেন, কিন্তু সমীকরণটা এখন বেশ বদলে গেছে। নুসরত-মিমির সম্পর্কের এই চিড় নজর এড়ায়নি নেটিজেনদেরও, কেন চিড় ধরল এই সম্পর্কে? সেই নিয়েও উড়ে বেড়াচ্ছে নানা গুঞ্জন। মঙ্গলবার এই বিতর্ক নিয়ে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল মিমির কাছে। এদিন কসবার ভ্যাকসিন সেন্টারে হাজির ছিলেন মিমি। করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেন নায়িকা। সেখানে নুসরতকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সরাসরি এড়িয়ে যান মিমি। নুসরতকে নিয়ে প্রশ্ন আগে কোনওদিন এভাবে এড়িয়ে যেতে দেখা যায়নি মিমিকে! নুসরতের প্রসঙ্গে উঠতেই সাংবাদিকে মিমি বলেন, 'আজ অন্য বিষয় নিয়ে কথা বলছি, অন্য সময় এই বিষয়ে আলোচনা করা যাবে'। অভিনেত্রীর জীবন আর বিতর্কের বিষয় প্রশ্ন করাতেও মিমি বলেন,'একজন নায়িকার জীবন কখনও ব্যক্তিগত হয় না, সবসময়ই তাঁরা থাকেন লাইমলাইটে'।
নুসরতের মা হওয়ার খবর নিয়েও প্রকাশ্যে শুভেচ্ছা বার্তা দেননি মিমি, আজকাল একসঙ্গে হ্যাং-আউটও করেন না তাঁরা। মিমি-নুসরত দুজনেই যে বন্ধু বদল করেছেন তা স্পষ্ট। আর পুরোটাই ঘটেছে এসওএস কলকাতার শ্যুটিং পর্ব শেষের পর। নিন্দুকরা তো এমনও বলছেন যশ দাশগুপ্তর জন্যই নাকি মিমি-নুসরতের বন্ধুত্বে ফাটল ধরেছে। যদিও সবটাই জল্পনা মাত্র, এই গুঞ্জনের মধ্যে কতটা সত্যতা আছে সেটা তো একমাত্র মিমি-নুসরতই জানেন।