সোমবার থেকে টেলিভিশনের পর্দায় আবার দেখা যাবে পুপেকে। দেখা যাবে গোরার সঙ্গে তাঁর খুনসুটি, প্রেম আরও কত কী! এক দশক পর টেলিভিশনের পর্দায় ফিরছে 'গানের ওপারে'। কিন্তু বেশ কিছু বছর আগেই না-ফেরার দেশে চলে গিয়েছিলেন গানের ওপারের নেপথ্যের আসল মানুষটা। বাঙালির খুব কাছের ঋতুপর্ণ ঘোষ। আজ ঋতুদাকে খুব বেশি মিস করছে পুপে-যিনি আজকের মিমি চক্রবর্তী। কিন্তু বাঙালি দর্শকের সঙ্গে মিমির পরিচয় হয়েছিল পুপে হিসাবে। গানের ওপারে ধারাবাহিকের সঙ্গে অভিনয় জগতে পথচলা শুরু মিমি চক্রবর্তীর। এই সিরিয়ালের ক্রিয়েটিভ হেড ছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। কার্যত নিজের হাতে করে মিমিকে তৈরি করেছিলেন তিনি। জলপাইগুড়ির 'টমবয়' মিমিকে পুপে হিসাবে গড়ে নিতে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি তাঁকে। মিমির কথায়, তাঁকে হাঁটতেও শিখেয়েছিলেন ঋতুদা। অভিনেত্রীর শাড়ি পর্যন্ত নিজের হাতে বেছে দিতেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। এক দশক পর যখন লকডাউনের জন্য ফের একবার এই ক্লাসিক ধারাবাহিক পুনঃসম্প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্টার জলসা। রবিবার গভীর রাতে মিমি ফেসবুকে স্মরণ করে নিলেন তাঁর মেন্টর ঋতুদাকে। লিখলেন, কাল থেকে আবার গানের ওপারে ,যদি তোমায় দেখতে পেতাম আবার !!'
প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের 'আইডিয়াস ক্রিয়েশন' (এখন এনআইডিয়াস) এর প্রযোজনায় তৈরি হয়েছিল এই ধারাবাহিক। কলেজ পড়ুয়া গোরা আর পুপের প্রেম আর সেই প্রেমের মাঝখানে রবিঠাকুর। এই নিয়ে গড়ে উঠেছিল গানের ওপারে। মুখ্য ভূমিকায় মিমি ও অর্জুন। বাঙালির প্রাণের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে পুরোনো ভাবনাই আঁকড়ে রয়েছে পুপের গোটা পরিবার। অথচ স্বাধীনচেতা গোরার কাজ রবীন্দ্র সঙ্গীত নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করা। এই দুই বিপরীত মেরুর মানুষের প্রেমকাহিনি ঋতুপর্ণ ঘোষের চোখ দিয়ে দেখেছে দর্শক। ২০১০ সালের জুন মাস থেকে ২০১১ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত সম্প্রচারিত হয়েছিল এই সিরিয়াল।
এদিন দর্শকদের জন্য বিশেষ বার্তা এল গোরা ও পুপের তরফে।
অর্জুন -মিমি ছাড়াও এই আইকোনিক শোয়ের অংশ ছিলেন সব্যসাচী চক্রবর্তী, কৌশিক সেন, গৌরব চক্রবর্তী, অনিন্দিতা বোস, ইন্দ্রাশিস রায়রা। ৬ এপ্রিল থেকে সোম-রবি বিকাল পাঁচটায় পুনরায় সম্প্রচারিত হবে এই ধারাবাহিক।