টলিউডের অন্যতম হ্যান্ডসাম নায়ক আবির চট্টোপাধ্যায়। অভিনেতাকে যখন চিনতে শুরু করে বাংলা, তখন তিনি রীতিমতো বিবাহিত এবং এক সন্তানের বাবা। নন্দিনী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আবিরের ১৭ বছরের সংসার! ২০০৭ সালে ভালোবেসে নন্দিনীকে বিয়ে করেছিলেন আবির। এমবিএ ক্লাসে আলাপ দুজনের। এরপর সাত পাক ঘোরেন। আরও পড়ুন-টলিপাড়ার হ্যান্ডসাম নায়ক আবিরের এত্ত বড় মেয়ে আছে! রঙের উৎসবে প্রকাশ্যে এল ছবি
আবিরের পাশে নন্দিনী কতটা মানানসই সেই এখনও কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় নায়ককে। সুদর্শন চেহারার আবিরের পাশে তাঁর ‘মোটা’ স্ত্রীকে একদমই মানায় না, মত নেটপাড়ার একাংশের। তবে সেই বিদ্রুপকে পাত্তা দেন না আবির, বরং স্ত্রীর পক্ষ নিয়ে সর্বদা উচিত জবাব দেন। নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে সর্বদা লাইমলাইট থেকে দূরেই রাখেন আবির। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় শুধু কাজ সংক্রান্ত পোস্ট। অনেকেই তাই বলেন, আবির বড্ড ‘বোরিং’। কিন্তু চরিত্রের প্রয়োজনে পর্দায় সুন্দরী নায়িকাদের সঙ্গে রোম্যান্সে আপত্তি নেই তাঁর।
সম্প্রতি ‘আলাপ’ ছবিতে প্রথমবার রোম্যান্টিক জুটি হিসাবে দেখা গিয়েছে আবির-মিমিকে। দীর্ঘদিন ধরেই মিমি আবিরের পারিবারিক বন্ধু। এক সাক্ষাৎকারে মিমি জানিয়েছেন, আবিরকে নিয়ে বিন্দুমাত্র ইনসিকিউরিটি নেই নন্দিনীর। নিরাপত্তাহীনতার জায়গাই নেই তাঁদের সম্পর্কে। মিমি টিভি নাইন বাংলাকে বলেছেন, ‘আবিরদা যখন ইন্টিমেট সিন করে আমি নন্দুকে (নন্দিনী) ফোন করি। বলি, কী করছেটা কী? তুমি কিছু বলছ না কেন? নন্দু এতটাই কুল, এতটাই ক্যাজ (ক্যাজুয়াল), এতটাই ভাল ওদের বন্ডিং, ওদের বোঝাপড়া… আমায় কী বলেন জানেন? বলে, ‘ছাড় না, বাদ দে না। কী হয়েছে’।’
বেমানান, বয়সে বড় লাগে– আবিরের স্ত্রীর পাশে হামেশাই এমন ট্যাগ সেঁটে দেওয়া হয়। এই নিয়ে আবির বলেছেন, ‘এ সব নিয়ে আমাদের মধ্যে কথা হলেও আমরা খুব একটা ভাবিত হই না। কারণ আমরা যদি ট্রোলিং শুরু করি তাহলে যারা ট্রোল করছেন তাঁদের ক্লাস নিয়ে নেব।’
পরম-পিয়ার বিয়ে ঘিরে ট্রোল পুলিশদের রমরমা যখন মাথাচাড়া দিয়েছিল, তখন নন্দিনী প্রতিবাদের সুরে সোশ্যালে লিখেছিলেন, ‘আমার বিয়ের ১৬ বছর হয়ে গেল। নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে হয় যে আবির অভিনেতা হিসেবে জনপ্রিয় হওয়ার অনেক আগে বিয়েটা করে ফেলেছি। জানি না বিয়ের পর মুহূর্ত থেকে অচেনা-অজানা মানুষদের থেকে ক্রমাগত ধেয়ে আসা নোংরা, অসভ্য অশালীন মন্তব্য শুনে আমার মানসিক অবস্থা কী হত! ভাববেন না কোনও এক তারকার সঙ্গীকেই এর সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কারও রেহাই নেই। কাউকে বডি শেমিং করা হয়, তো কাউকে কথা শুনতে হয় আগের সম্পর্ক নিয়ে। কোনও না কোনও কারণে আপনাকে নোংরা কথা শিনতে হবেই। সব কিছু নিঁখুত-সুন্দর হলেও শুনতে হবে। কী অসাধারণ সমাজ আমাদের।’
২০১৫ সালের আশেপাশে কন্যা সন্তানের বাবা হন আবির। এখন নায়কের মেয়ে ময়ূরা্ক্ষীর বয়স প্রায় দশ ছুঁইছুঁই। স্ত্রী-কন্যে আর বাবা-মা'কে নিয়ে ভরা সংসার আবিরের।