২৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন হয়েছিল ধুমধাম করে এবারেও। করোনার জেরে দিনক্ষণ একটু পিছোলেও উৎসবের জাঁকজমকে ভাঁটা পড়েনি। ২৫ এপ্রিল ছিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নজরুল মঞ্চে। এবারের বিশেষ অতিথি ছিলেন অভিনেতা সাংসদ শক্রুঘ্ন সিনহা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো এদিন ছিলেনই, ছিলেন টলিউডের একঝাঁক চেনা মুখ।
সন্দীপ রায়, গৌতম ঘোষ, রঞ্জিৎ মল্লিক, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, নুসরত জাহান, ইন্দ্রাণী হালদার, গৌতম ঘোষ, সায়নী ঘোষ, বাবুল সুপ্রিয়-দেব, সোহম, কোয়েল, শুভশ্রী, জুন মালিয়া-সহ একাধিক তারকার ভিড়ে অনুষ্ঠানে একটা মুখের দেখা পাওয়া যায়নি। তিনি হলেন মিমি চক্রবর্তী। শুধু উদ্বোধন কেন, গোটা অনুষ্ঠানেই আসেননি একবারও। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিল মিমি ভক্তরা। সম্প্রতি এক টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক-এ না আসার কারণে মিমির অভিযোগের আঙুল উঠল এক অন্যদিকে। আরও পড়ুন: চলচ্চিত্র উৎসবে মেলেনি আমন্ত্রণ, 'TMC সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ', বললেন শ্রীলেখা
মিমি সাফ জানিয়ে দিলেন ঠিক করে আমন্ত্রণ করা হয়নি বলেই তিনি চলচ্চিত্র উৎসবে আসেননি। তাঁর বাড়িতে একটা কার্ড এসেছিল ঠিকই, কিন্তু তা লেটার বক্সে ফেলে রাখা হয়েছিল। কেউ ফোন করা তো দূরে থাক, একটা এসএমএস করেও তাঁকে জানায়নি কোনদিন কী অনুষ্ঠান হবে। অভিনেত্রীর আফশোস,
দিদি (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)-র পক্ষে তো সবটা দেখা সম্ভব নয়, সেই কারণেই তিনি কাউকে এই দায়িত্বটা দিয়েছেন। এটাই দুঃখ লাগে যে ইন্ডাস্ট্রির কেউ বা এই চলচ্চিত্র উৎসবের দায়িত্ব যাদের উপর তাঁরা আমায় ফোন করেনি বা এসএমএসও করেনি! তাই আমিও ওখানে ছিলাম না।
মিমির এই সাক্ষাৎকার ভাইরাল হওয়ার পরেই দাবি উঠেছে যে তাঁর অভিযোগের তীর উঠেছে রাজ চক্রবর্তীর দিকে। কারণ, বিগত কয়েক বছর ধরে চলচ্চিত্র উৎসবের চেয়ারপার্সন রাজ চক্রবর্তী। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ও রয়েছেন কমিটিতে। এক সময় মিমি আর রাজের সম্পর্ক মধুর হলেও, পরে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। রাজ-শুভশ্রীর প্রেম নিয়েও বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন মিমি। যদিও এখন সেসবে ইতি টেনেছেন দু'পক্ষই, তবে মিমির কিফে হাজির না হওয়া যেন পুরনো বিতর্কের আগুনে একটু নতুন করে ঘি ঢেলে দিল!্ষাৎকাKIFFরে