কথা মতোই রবিবার সন্ধ্যায় করোনা যুদ্ধে জয়ী, রাজ্যের তৃতীয় করোনা আক্রান্ত মানামী বিশ্বাসের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লাইভে আলোচনা করলেন অভিনেত্রী তথা যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী।
কোভিড-১৯ নিয়ে অনেকে অনেকরকম কথা বলেছে। কিন্তু আসলে কেমন হয় করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের এই সফর। মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে, অনুপ্রেরণা জোগাতেই এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন মিমি। নায়িকা আগেই জানিয়েছন,মানামীর সাহসিকতায় তিনি উদ্বুদ্ধ। মনামীর অভিজ্ঞতা এবং টিপস পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে এই মহামারী সম্পর্কে আরও সচেতন করবে বলেই বিশ্বাস করেন মিমি।
এদিন ভিডিয়ো বার্তায় মানামী নিজের করোনা জয়ের কাহিনি সম্পর্কে জানান। বলেন, 'কথাটা শুনতে সোজা লাগলেও জার্নিটা খুব একটা সহজ ছিল না। ১৮ মার্চ এডিনবরা থেকে আমি কলকাতায় ফেরার বিমানে উঠি। ১৯ তারিখ কলকাতায় এসে পৌঁছাই এবং (বেলেঘাটা) আইডি হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হই পরীক্ষার জন্য। পরের দিন ২০ মার্চ আমাকে জানানো হয় আমার নমুনা পজিটিভ। সেদিন রাতে আমি প্রচন্ড পরিমাণে ভেঙে পড়েছিলাম, চারিদিকে যা শুনছিলাম-তাতে আতঙ্কিত ছিলাম। পরের দিন স্বাস্থ্যভবন, চিকিত্সক, নার্স সবাই আমাকে আশ্বস্ত করেছে। ১৪ দিন তাঁরা আমার সঙ্গে ছিল,... এসে থেকে বাড়ির লোকের সঙ্গে আমি দেখা করতে পারিনি। অনেকটা মনোবল নিয়েই আমি এতদূর এসেছি'।
পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় করোনা আক্রান্ত হিসাবে উঠেছিল স্কটল্যান্ড ফেরত এই হাবরার তরুণীর নাম।৩১ মার্চ সম্পূর্ন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন মনামী। এরপরেও একটানা চোদ্দ দিন বাড়িতেই আইসোলেশনে থেকেছেন তিনি।
করোনা সচেতনতার ক্ষেত্রে শুরু থেকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছেন মিমি। বাড়ি বসেই কখনও মাস্ক তৈরির পদ্ধতি, তো কখনও রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ানোর টিপস দিয়েছেন। সাংসদ হিসাবেও যাদবপুরবাসীর যেন এই সংকটের দিনে কোনও অসুবিধা না হয় সেই খেয়াল রাখছেন তিনি। সেই উদ্যোগের অংশ হিসাবেই করোনা জয়ী মানামীর সঙ্গে লাইভ আলোচনা সারলেন মিমি।