মঙ্গলবারই ধর্ষণের হুমকি পাওয়ার কথা সামনে আনেন তিনি। আরজি কর নির্যাতিতকাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আর সেই টাকার অঙ্ক টেনেই মিমির পোস্টে মন্তব্য করা হয়।
সেই কমেন্টে লেখা ছিল, ‘আজ এই কাণ্ড যদি মিমির সঙ্গে ঘটত তা হলে কী করত? মিমির পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হত নাকি? তাহলে মিমিকে আমার ঘরে পাঠিয়ে দিলে আমি ওঁর পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দিয়ে দেব।’
আর সেই কমেন্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখেছিলেন, ‘আমরা কী এই কারণেই লড়ছি? আমরা একজন মহিলার জন্য বিচার চাইছি তাই না? ধর্ষণের হুমকি দেওয়াটা যেন জলভাত হয়ে গেছে। এরাই আবার ভিড়ের মধ্যে মিশে বলছেন, মেয়েদের পাশে রয়েছেন! এটা কোন ধরনের শিক্ষা?’
আরও পড়ুন: ‘আরজি কর-কাণ্ড স্বাভাবিক নয় কি’, টলিউড নায়িকা রাজনন্দিনীর পোস্টে মন্তব্য জনৈকের, এমন কী পরেছিলে?
তবে এত সহজে এই ধরনের মানুষকে ছেড়ে দিতে রাজি নন অভিনেত্রী। তিনি জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযোগ করেছেন তিনি। শাখার প্রধানের সঙ্গেও কথা বলেছেন। তিনি আনন্দবাজারকে বলেন, ‘একজন মহিলাকে আক্রমণ করার ভাষাই এখন ধর্ষণের ভাষা। কথায় কথায় ধর্ষণের হুমকি! এর শেষ দেখে আমি ছাড়ব।’
আরও পড়ুন: মুরগিকে ‘ধর্ষণ’ করছে এক নাবালক, মুখে হাসি! শিউরে ওটা ভিডিয়ো সামনে আনলেন স্বস্তিকা
মঙ্গলবারই মিমির পোস্টের স্ক্রিনশট নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেন সৃজিত। অভিনেত্রীকে আক্রমণের মোক্ষম জবাব দেন সেখানে পদাতিক পরিচালক। তিনি লেখেন, ‘তারকাদের ঘৃণা করুন কিন্তু ভেবেচিন্তে। জেলে ইন্টারনেট নাও পেতে পারেন।’
প্রথম থেকেই আরজি কর নির্যাতিতার বিচার চেয়ে প্রতিবাদে সরব মিমি চক্রবর্তী। বিচার চেয়ে পথেও নেমেছেন। একের পর এক পোস্ট শেয়ার করে চলেছেন তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে।
আরও পড়ুন: প্রতিবাদের ভাষা রং-তুলি! আরজি কর কাণ্ডে মাঝরাতে কলেজস্ট্রিটের রাস্তায় আঁকলেন সৃজিত
২০২৪ সালের শুরুতেই লোকসভা ভোটের আগে রাজনীতি সরে আসেন মিমি। স্পষ্ট করে দেন, রাজনীতির ময়দান তাঁর জন্য নয়। এমনকী, যাদবপুর কেন্দ্রে এবারে তাঁর জায়গায় ভোটে লড়েন সায়নী ঘোষ। এরপর থেকে কোনও রাজনৈতিক সমাবেশেও আর দেখা যায়নি তাঁকে। এমনকী, কোনও দল নিয়ে কোনও মন্তব্যও করেননি। নির্যাতিতার বিচার চেয়েও তাঁর ভূমিকা ছিল সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক।