অভিনয়ের পাশাপাশি প্রায়দিনই রাজ্যের বিভিন্নপ্রান্তে স্টেজ শো করতে যান টলিপাড়ার অভিনেতারা। সেখানে গিয়ে অনেকসময়ই জনতা-জনার্দনের অনুরোধে গানও গাইতে হয় তাঁদের। অগত্যা গান না জানলেও অনেকেই গানের তালে সুর মেলানোর চেষ্টা করেন। তবে মিমি চক্রবর্তীর ক্ষেত্রে বিষয়টা আলাদা। মিমি কিন্তু অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি গায়িকাও বটে।
সম্প্রতি বোলপুরে শো করতে গিয়েছিলেন মিমি। সেখানে স্টেজে উঠে মাইক্রোফোন হাতে ‘আমার পরাণ যাহা চায়’ গাইতে শোনা গেল মিমিকে। শোয়ের জন্য মিমি পরেছিলেন কালো টি-শার্ট আর ব্রাউন রঙের চকচকে একটা প্যান্ট। কানে পরেছিলেন লম্বা সিলভার ঝোলা দুল। সেদিন মিমির শো ঘিরে জনতার উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই উল্লাসিত জনতার সঙ্গে সেলফি বন্দিও হলেন অভিনেত্রী। আবার সিনেমার গানেও মিমির সঙ্গে সুর মেলালেন উপস্থিত দর্শক-শ্রোতা বন্ধুরা।
'এত ভালোবাসা দেওয়ার জন্য ধন্যাবাদ বোলপুর' ক্যাপশানে ভিডিয়োটি পোস্ট করেছেন মিমি চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন-রুদ্রনীলের দলের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে কোনওদিনই নিজেকে মেলাতে পারব না, তবে আমাদের…: পরমব্রত
মিমির পোস্ট করা ভিডিয়োর নিচে কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। একজন লিখেছেন, ‘তোমার গলা খুব সুন্দর।’ আরও একজন লিখেছেন, যাক এতদিন পর কোনও অভিনেত্রী এমন ভালো গলা শুনলাম।' কারোর আবার প্রশ্ন, ‘এটা বোলপুর না, এটা বাসাপাড়া?’ কারোর কথায়, ‘যাক তাও ভালো অন্তত অন্যান্য অভিনেত্রীদের মতো আপনি বেসুরে গান গান না।’
মিমি অবশ্য এর আগেও বহুবার রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়েছেন। এই প্রথম নয়। ২০২০ সালে 'আমার পরাণ যাহা চায়' নামে মিমির একটা রবীন্দ্রসঙ্গীতের অ্যালবাম বের হয়েছিল। এছাড়াও বেশকিছু অন্য ঘরনার গানেরও মিউজিক ভিডিয়ো তৈরি করেছেন মিমি। তাই গান গাওয়া মিমির কাছে নতুন নয়।
প্রসঙ্গত এক দশক আগে 'গানের ওপারে'র ধারাবাহিকের হাত ধরে অভিনেত্রী হিসাবে পথ চলা শুরু করেছিলেন মিমি চক্রবর্তী। সেখানে মিমির চরিত্রের নাম ছিল ‘পুপে’। রবির গানই ছিল পুপের( মিমির চরিত্রের নাম) প্রাণ। তবে এখন প্রশ্ন মিমি কি সত্য়িই কোনওদিন গান শিখেছেন? এবিষয়ে বহু আগে এক সাক্ষাৎকারে মিমি নিজেই জানিয়েছিলেন, ‘আমার বাড়িতে গানবাজনার পরিবেশ ছিল, ছোট থেকেই এটা দেখে বড় হয়েছি। তবে আলাদা করে শিখিনি। তবে টিভিতে ম্য়াডোনাকে দেখে রকস্টার হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। তখন ভাবতাম, আমিও গিটার হাতে এভাবে বহু মানুষের সামনে গান গাইব।’