'আমি নীতবর', দিলীপের বিয়ের দিনে বললেন মীর! শুনতে হল ‘মুর্শিদাবাদ নিয়ে চুপ কেন?’

নবজীবন শুরু করছেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী রিঙ্কু মজুমদারের সঙ্গে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করছেন তিনি। আর সেই উপলক্ষ্যে এদিন একটি পোস্ট করেন মীর আফসার আলি। নিজের ছবি দিয়ে মীর লিখলেন, ‘আজ আমি নীতবর।’

নবজীবন শুরু করছেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী রিঙ্কু মজুমদারের সঙ্গে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করছেন তিনি। আর সেই উপলক্ষ্যে এদিন একটি পোস্ট করেন মীর আফসার আলি। নিজের ছবি দিয়ে মীর লিখলেন, ‘আজ আমি নীতবর।’

কী লিখলেন মীর আফসার আলি?

শুক্রবার মীর আফসার আলি নিজের একটি ছবি সমাজ মাধ্যমের পাতায় অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেন। সেখানে ঘিয়ে রঙের সুতোর কাজ করা মেরুন পাঞ্জাবি ও ঘিয়ে রঙের ধুতিতে দেখা যায় তাঁকে। তাঁর মাথায় ছিল টোপর। হাতজোড় করে ছবিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

তিনি ছবিটি পোস্টে লেখেন, 'আজ আমি নীতবর! কার বিয়েতে যাচ্ছি বলুন তো?' নেটিজেনদের একাংশের মতে, মীর যে দিলীপ ঘোষের বিয়ের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

তাঁর এই পোস্ট দেখে কে কী বলছেন?

একজন লেখেন, ‘ঘোষদার বিয়েতে।’ আর একজন লেখেন, ‘নিউটাউনের দিকে যাচ্ছো মনে হচ্ছে.....।’ মীরের এক মহিলা অনুরাগী লেখেন, ‘একটা সময় স্বপ্ন দেখেছিলাম (যখন তুমি খাস খবর পড়তে) তুমি আসবে আমার কাছে এই বেশে, এই ভাবে সেজে। কিন্তু তা আর হল কই ?’

তাঁর এই পোস্ট দেখে আবার অনেকে তাঁকে কটাক্ষও করেছেন, একজন লেখেন, ‘একমাত্র সুস্থ রুচি, শালীনতাবোধ এবং শিক্ষার অভাব হলেই মানুষ এইরকম জঘন্য কথাবার্তা বলে।’

আর একজন লেখেন, ‘আপনি আমার অত্যন্ত প্রিয় একজন মানুষ। আপনার কণ্ঠস্বর থেকে উচ্চারিত প্রত্যেকটা শব্দ আমার মন ছুঁয়ে যায়। কিন্তু মুখটা এরকম এরকম লাগছে কেন!’ আর একজন লেখেন, ‘প্রত্যেক মানুষের নিজের নিজের মতো করে বাঁচার অধিকার আছে, অবশ্যই ভদ্র ভাবে। যোগ্য মর্যাদা দিতে লুকোচুরি করে বেলেল্লাপনা না করে সন্মানজনক সম্পর্ক তৈরি করে। দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক তাঁরা সামাজিক ভাবে একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে কার কী বলুন দেখি?'

আর এক ব্যক্তি লেখেন, ‘তাঁরা দুজনেই প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ, তাঁরা তাঁদের জীবনের যাই সিদ্ধান্ত নিক সেটার সম্পূর্ণ অধিকার আছে, এটা নিয়ে এত মজা করার অর্থ নিচু মানসিকতার পরিচয়, আর আপনি সেটা বোঝালেন। আপনার একজন ভক্ত হয়ে নিজের খারাপ লাগছে।’ আর একব্যক্তি ঘোষ অ্যান্ড কোম্পানিতে ঋতুপর্ণ ঘোষ মীরকে যে তিরস্কার করেছিলেন সেই প্রসঙ্গ টেনে লেখেন, ‘ঋতুপর্ণ ঘোষ যে ট্রিটমেন্টটা অন ক্যামেরা দিয়েছিলেন, ভুলে গিয়েছেন বোধহয় ! ওটাই প্রাপ্য আপনার ৷’

অনেকে আবার মুর্শিদাবাদের প্রসঙ্গ টেনে লেখেন, ‘বলছি দাদা মালদা, মুর্শিদাবাদ নিয়ে কোনো পোস্ট হবে নাকি।’ আর একজন লেখেন, ‘মুর্শিদাবাদ, মোথাবাড়ি, দুর্নীতি এসব নিয়ে কথা বলতে পারেন না।’ আর একজন তাঁকে মুর্শিদাবাদে ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে লেখেন, ‘আপনি একবার মুর্শিদাবাদ যান, ত্রাণ নিয়ে। এখন বিনোদনের দরকার নেই।’ এক নেটিজেন লেখেন, ‘তোমার তো মুর্শিদাবাদেই বাড়ি। ঘরছাড়া অসহায় মানুষগুলোর জন্যে কী সুন্দর চুপ থাকতে হয়, আর সুযোগ বুঝেই অন্যকে অসম্মান করার জন্যে বেরিয়ে পড়তে হয়, তা তোমার মতো লোকের থেকে শিখতে হয়।’