আর জি করের ঘটনায় শুরু থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছেন কৌতুকশিল্পী, অভিনেতা মীর আফসর আলি। এমনকি জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনকেও সমর্থন করে এসেছেন তিনি। ৪ দিন আগেই ডাক্তারদের অনশন মঞ্চের ছবি দিয়ে মীর লিখেছিলেন ‘সবাইকে শারদ শুভেচ্ছা, দোষীদের গারদ শুভেচ্ছা।’ আর মীরের শেয়ার করা সেই ছবিতে আবার লেখা ছিল ‘ডাক্তারদের অনশন, লজ্জা করো প্রশাসন’।
এদিকে আরজি কর আবহের মধ্যে ১৫ অক্টোবর, মঙ্গলবার ছিল পুজো কার্নিভাল। যে কার্নিভালের প্রতিবাদ করে এসেছেন অনেক তারকাই। এমনকি এবার কার্নিভালে দেখা মেলেনি টলিপাড়ার বেশিরভাগ তারকা ও শিল্পীদের। তবে উপস্থিত না থাকলেও সোশ্যাল মিডিয়া পেজে কিংবা টেলিভিশনে অনুষ্ঠানের লাইভ দেখেছেন অনেকেই। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে নেটিজেনদের হাতে ধরা পড়ে গিয়েছেন মীর আফসর আলি, ঐন্দ্রিলা সেনরা। আর তাতে মীরকে ট্রোল করতে ছাড়েননি নেটিজেনরা।
মীরের পুজো কার্নিভালের লাইভ দেখার স্ক্রিনশট শেয়ার করে এক নেটনাগরিক লেখেন, ‘মীরদা বাড়ি বসে কার্নিভাল দেখছে! মনে হয় পাস পান নি!’
আরও পড়ুন-মমতার কার্নিভালে দেখা মিলল না রাজ-শুভশ্রী, দেব-রুক্মিণীদের, নাচে একাই একশো ঋতুপর্ণা!
আরও পড়ুন-একা নয় দোকা! পুজো কার্নিভালে হুইলচেয়ারে কাকে ঠেলে নিয়ে হাঁটলেন? পরিচয় দিলেন কুণাল ঘোষ
এই পোস্টের নিচে বহু তৃণমূল সমর্থকের কমেন্টের বন্যা বয়ে যায়। একজন লেখেন, ‘আরে না। ওনারা উৎসবে নেই, চুপি চুপি তে আছে।’ আরও একজন লেখেন, ‘দেখি এবার মীর দার মিরাক্কেল বাংলাতে পাস পায় কিনা। যে বাংলার উৎসবকে বন্ধ করে দেওয়ার প্ররোচনা দিতে পারে তাহলে তার অনুষ্টিত কোনও প্রোগ্রাম দুরদর্শনে চলতে পারে না।’ আরও একজন লেখেন, ‘চেয়েও (পাস) পায়নি মানুষ গুনছিলো’। কারোর মন্তব্য, ‘সময় হয়েছে, কে সাথে আছে, কে স্বার্থে আছে. দিদিকে আর কি বলব? এরা অসুবিধাতে ডাকলে দিদি আবার সাড়া দেবে’

তবে আবার অনেকেই মীরের হয়ে কার্নিভালের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিরোধও গড়ে তুলেছেন। একজন লেখেন, ‘মীর কি একটা আছে,? তবে পিসি একটা’। কেউ লেখেন, ‘আমরাও দেখেছি তারমানে এই নয় শুভেচ্ছা দেওয়ার জন্য নির্লজ্জ কতমানের হয় সেটাই দেখার জন্য।’ কারোর মন্তব্য, ‘আপনাদের নির্লজ্জতা পুরো দুনিয়া দেখছে খালি Mir না।’ কারোর কটাক্ষ, ‘না চাটলে পাস পাওয়া যায় না।’ কেউ বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্লজ্জ নাচ সারা দুনিয়া দেখছে... দেখছে আর ছিঃ ছিঃ করছে।’ কারোর কথায়, ‘কি তামাশা হচ্ছে সেইটা শুধু দেখছে।’


প্রসঙ্গত, আরজি কাণ্ড নিয়ে টলিপাড়ার অনেক শিল্পীর চুপ থাকা নিয়েও একসময় আক্রমণ শানিয়েছিলেন মীর। বলেছিলেন, ' আমার বেশ কিছু শিল্পী বন্ধু যাঁরা সিনেমা টেলিভিশনে কাজ করেন, তাঁদের থেকে সাধারণ মানুষ জবাব চাইছেন, কিন্তু তাঁরা নীরব। জবাব দিতে পারছে না। কারণ দুর্ভাগ্যবশত তাঁদের টিকি অন্য কোথাও বাঁধা। আর সেই টিকির জোর আছে। কিন্তু জনগণ কেন তাঁদের প্রতি এই জনরোষ দেখাচ্ছেন সেটা তাঁরা বুঝতে পারছেন না। যাঁদের টিকি অন্য কোথাও বাঁধা তাঁদের ছেড়ে দিন। ওদের ট্রোল করার বদলে নিজের মনে এটা ঢুকিয়ে নিন যে এই সমাজের আপনার পালন করার জন্য অনেক দায়িত্ব আছে।'