দুর্গাপুজোর সময় একটি পোস্ট খুব ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়াতে। যেখানে জনৈক এক ব্যক্তি দাবি করেছিলেন, তিনি ৪ ঘণ্টা কলকাতার রাস্তায় ঘুরে, ভিড় ঠেলে, লম্বা লাইন ঠেলে যতগুলো ঠাকুরের মুখে দেখেছেন, তার থেকে বেশি দেখেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ। কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবেও প্রতিবার একই প্রতিবাদ করে কিছু তারকারা। যেখানে দেখা যায় সত্যজিৎ-মৃণাল সেনের মতো কিংবদন্তিদের ছবি, অথবা কালজয়ী বাংলা সব সিনেমার পোস্টারের বদলে, বড় বড় করে মমতাকেই দেখা যায়। এবার সেই নিয়ে খোঁচা মারলেন কৌতুক শিল্পী, অভিনেতা মীর আফসার আলি।
গায়িকা জয়তী চক্রবর্তী ফেসবুকে একটি পোস্টে লেখেন, ‘সকলের সাদর আমন্ত্রণ’। আর সেই পোস্টটি ছিল কলকাতা মিউজিক্যাল ফেস্টিভ্যাল ২০২৫ নিয়ে। যা চলবে ১৫-১৭ জানুয়ারি। আর সেই পোস্টারেও ব্যবহার করা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ।

জয়তীর এই পোস্টে মীর মন্তব্য করেন, ‘আচ্ছা তোমাদের ছবি দেয়নি কেন গো? তোমরা দেখতে খারাপ’। অবশ্য জয়তী আর কথা বাড়ননি। ব্যাপারটা হালকা ছলেই উড়িয়ে দিয়ে জবাব দেন, ‘হাহাহাহা… মীরদা সত্যি তুমি কী যে বলো’। মীরের এই কমেন্টে আরেকজন লিখলেন, ‘গুরুদেব নমো!!!!’ আরেকজন, যিনি আবার তৃণমূল-ভক্ত বেশ রাগ দেখিয়েই লিখলেন, ‘যার ছবি দেওয়া হয়েছে তাঁকে আর সহ্য করতে পারছেন না? কিন্তু আপনার এলিটিস্ট ইগো আহত হলও কিছু করার নেই মীরদা। সাধারণ মানুষ আপনাদের এলিটিজমের উপর কালো পর্দা ফেলে দেবে যাতে আর ওনার মুখ দেখে আপনাদের অহং না আহত হয়।’
অবশ্য শুধু মীর নয়, আরও অনেকের মুখেই এই পোস্টে একই কথা। যেখানে পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া, উস্তান নিশাত খান, কবীর সুমনদের মতো ব্যাক্তিত্বরা পারফর্ম করবেন, সেখানে মমতার ছবি ব্যবহার হওয়ায় আপত্তি আমজনতার একাংশেরও। একজন লেখেন, ‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কী অনুষ্ঠান করবেন ? এখানে তাঁর বদন কেন ?’ আবার অপর তৃণমূলী সমর্থকের জবব, ‘মুখ্যমন্ত্রীর ছবি আছে তার কারণ হল-- মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে অনুষ্ঠানটা হচ্ছে, তা ওপরেই লেখা। ভাম্পায়ারদের (উনি বামফ্রন্টের কথা বলেছেন) সরকার তো গণসঙ্গীত ছাড়া বাকি সব অপসংস্কৃতি বলে বাতিল করে দিত।’