ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হানায় চিন্তিত গোটা বিশ্ব। ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর গত সপ্তাহ থেকে রাজধানী কিয়েভ ঘিরে আক্রমণ জোরদার করে রাশিয়া।এরই মধ্যে ইউক্রেনে বিধ্বংসী হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। যদিও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এমন দাবির প্রেক্ষাপটে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি ইউক্রেন। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি-র মানসিক অবস্থা কী হতে পারে, সে সম্পর্কে সম্যক ধারণা সকলেরই রয়েছে। তবে এই তালিকায় সম্ভবত নেই মার্কিনী প্রদেশের অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ পিটার স্চিফ। তাই তো মার্কিন কংগ্রেসের সঙ্গে কথোপকথনের সময়েই জেলেনস্কি-র পোশাক নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে বসেছেন তিনি! আর তা চোখে পড়ামাত্রই চটে লাল শাহিদ কাপুর পত্নী মীরা রাজপুত। সরাসরি প্রকাশ করেছেন নিজের ক্ষোভ।
সম্প্রতি, মার্কিন প্রদেশ কংগ্রেসের কাছ থেকে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেই সময়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে দেখা গিয়েছিল সবুজরঙা টি শার্টে। ভয় এবং দুশ্চিন্তাও ফুটে বেরোচ্ছিল তাঁর মুখ থেকে। এমন পরিস্থিতিতে তিনি যে স্যুটেড ব্যুটেড হয়ে থাকবেন না, সেকথা বলাই বাহুল্য। কিন্তু পিটার স্চিফ-এর দাবি এহেন অবস্থাতেও ভলোদিমির জেলেনস্কি-কে স্যুট পরতে হবে। রীতিমতো টুইট করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে কটাক্ষ করে মার্কিনী প্রদেশের অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ লিখেছেন, জানি এখন সময় ভাল নয়, পরিস্থিতিও যথেষ্ট কঠিন তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কি একটিও স্যুট নেই? আমার নিজেরও মার্কিনী কংগ্রেসের প্রতি তেমন শ্রদ্ধা নেই তবুও টিশার্ট পরতে বলব না। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-এর প্রতিষ্ঠানকে অসম্মান করার কোনও ইচ্ছা নেই আমার।
এই টুইটেরর কড়া নিন্দে করে জবাব দিয়েছেন মীরা। ইনস্টাগ্রামে ভলোদিমির জেলেনস্কির সেই সবুজ টিশার্ট পরা ছবির সঙ্গে মার্কিনী প্রদেশের অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ পিটার স্চিফ-এর সেই টুইটটির ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ভাবা যায়! এরপর তো পারলে ওঁকে জামার কাফলিংকস কেন পরা হয়নি, সেটিও জিজ্ঞেস করে ফেলতে পারো! এখানেই না থেমে তিনি আরও লেখেন, 'আমরা কি শুধু লুক এবং উপস্থাপনের উপর আজকাল এতটাই জোর দিচ্ছি যে বাস্তব পরিস্থিতিটি ঠিক কী সেটিও ভুলে যাচ্ছি? একটি দেশের এমন কঠিন সময়ে, দুর্দশায় তার প্রধান ইস্ত্রি করা নিভাঁজ স্যুট পরে এসে হাজির হবেন, সেই আশাই করব?
নেটপাড়ার বহু বাসিন্দা মীরাকে সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁরা যে ক্ষেপে আগুন সে তাঁদের কমেন্টের দিকে এক ঝলক তাকালেই বোঝা যাবে।