২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিয়োয় মুক্তি পেয়েছিল ক্রাইম থ্রিলার মির্জাপুর সিজন ওয়ান। ২০২০ সালে দ্বিতীয় সিজন এবং ২০২৪ সালে তৃতীয় সিজন মুক্তি পায়। এবার মির্জাপুর ভক্তদের জন্য এলো আরও বড় সুখবর। বড় পর্দায় আসতে চলেছে ‘মির্জাপুর দ্যা ফ্লিমস’।
সিনেমার মোড়কে মির্জাপুর আসবে, কথাটি শোনার পর থেকেই ভক্তদের মধ্যে ছড়িয়েছে বেশ উত্তেজনা। কিন্তু সিনেমার গল্প কী হবে? কাদের দেখানো হবে এই সিনেমায়? সবটাই বললেন অভিনেতা আলি ফজল ওরফে মির্জাপুরের গুড্ডু পন্ডিত।
আরও পড়ুন: ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ে হার মানল জীবন, না ফেরার দেশে তামিল অভিনেতা যুবনরাজ
গুড্ডু বলেন, আমরা এই সিনেমাটি নিয়ে ভীষণ উত্তেজিত। এই সিনেমার গল্প আমাদের সময়ের পিছনে নিয়ে যাবে। তাহলে কি মির্জাপুর প্রিক্যুয়েল? জিজ্ঞাসা করায় অভিনেতা বলেন, এখনই বলা যাবে না তবে সঠিক সময় এলে ঠিক জানতে পারবেন। তবে কিছুদিন আগেই যে অভিনেতা সিক্যুয়েল সিনেমায় অভিনয় করবেন না বলে জানিয়েছিলেন তিনি কীভাবে এই সিনেমায় অভিনয় করছেন, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি আলি।
সোমবার এক্সেল মুভিজের তরফ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দর্শকদের উদ্দেশ্যে এমনই বার্তা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে সিনেমার টিজার, যেখানে বন্দুক হাতে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে ফের আরও একবার মুখোমুখি হতে চলেছেন কালিন ভাইয়া, গুড্ডু ভাইয়া এবং মুন্না।
সিনেমাটি ২০২৬ সালে সিনেমা হলে আসবে বলে দেখানো হয়েছে টিজারে। টিজারের শুরুতেই কালিন ভাইয়া অর্থাৎ পঙ্কজ ত্রিপাঠীর গলার স্বর শুনতে পাওয়া গেছে। এরপর একে একে গুড্ডু পন্ডিত, মুন্না ভাইয়া এবং কম্পাউন্ডার অর্থাৎ যথাক্রমে আলি ফজল, দিবেন্দু শর্মা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: ৫ বছর পর ফের কবীরের সঙ্গে জুটি বাঁধছেন সলমন? বজরঙ্গী ভাইজান-ভারতের পর আসছে কোন ছবি?
টিজার শুরু হতে না হতেই পঙ্কজ বলেন, গদির মাহাত্ম্য সকলেই জানেন। সম্মান, ক্ষমতা দিয়ে যে যার গদিতে বসেছেন, কিন্তু এবার যদি গদি থেকে না ওঠেন তাহলে কিন্তু বিপদ আছে। পঙ্কজ ত্রিপাঠির মুখে এই কথা শোনার পরেই দেখা যায় আলি বলছেন, ঠিক আছে কালিন ভাইয়া, রিস্ক নেওয়াই আমার ইউএসপি। পুরো খেলাই বদলে গেছে, আসলে মির্জাপুর এখন আর আপনার কাছে আসবে না, আপনাকে মির্জাপুরে আসতে হবে। আলি ফজলের পর দিবেন্দু শর্মা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সংলাপ বলতে শোনা যায়।
প্রসঙ্গত, সিনেমাটি পরিচালনা করবেন গুরমিত সিং। প্রযোজনা করছেন রিতেশ সিধবাণী এবং ফারহান আখতার। চিত্রনাট্য লিখেছেন পুনিত কৃষ্ণা। তবে এই মাস্টারপিস দেখার জন্য আরও গোটা এক বছর অপেক্ষা করতে হবে দর্শকদের।