বলি তারকা শাহিদ পত্নী মীরা কাপুর রবিবার তাঁদের কন্যা মিশার কোয়ারেন্টাইন স্পেশ্যাল জন্মদিন পালনের একাধিক রঙিন ছবি নেট দুনিয়ায় ভাগ করে নিয়েছেন । গত ২৬ আগস্টই মিশা পা দিয়েছে চার বছরে । কিন্তু গত ৫ই সেপ্টেম্বরে ২ বছর পূর্ণ করা ভাইয়ের সাথে যৌথ জন্মদিনের পার্টি পালন করতে নিজের আপত্তির কথা জানিয়ে দিয়েছিল সদ্য চারে পা দেওয়া এই খুদে, এই রহস্য ফাঁস করেছেন মীরা। দশ দিনের ব্যবধানে দুটি পৃথক বার্থডে পার্টি আয়োজনের ঝক্কি থেকে বাঁচতে চেয়েছিলেন মীরা । মায়ের এই ইচ্ছার কথা জানা মাত্রই সোজা বাবার কাছে গিয়ে মায়ের নামে অভিযোগ জানায় মিশা!
এই দিন শিশুদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্রিটিশ অ্যানিমেটেড সিরিজ পেপ্পা পিগের থিমের সাথে সামঞ্জস্য রেখে একাধিক রঙিন কাগজ , ছোট ছোট প্লাকার্ডস , পালটা উপহারের ডালি ইত্যাদি সাজিয়ে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করেছিলেন মীরা ।
নিজের ইনস্টা পোস্টে শাহিদ পত্নী লেখেন , তাঁর অনেক দিন আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল , মাত্র দশ দিনের ব্যবধানে দুই জনের আলাদা করে জন্মদিন পালন করার পরিবর্তে একসাথে পালন করবেন । ‘ কারণ এতো অল্প ব্যবধানে এইভাবে দুটো পার্টি আয়োজন করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য এবং ক্লান্তিকর । তাছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থের দিকটা ভেবেও যে কোনও কাজ করা উচিৎ। যৌথ পার্টির কথা জানতে পেরেই সটান বাবার কাছে গিয়ে আমার নামে নালিশ ঠুকে দিল মিশা এবং নিজের আলাদা পার্টির দাবি পরিষ্কার জানিয়ে দেয় সে । নিজের জীবনের বিশেষ দিনটিকে কখনোই অন্যের সাথে শেয়ার করতে রাজি নয়’।
মিশার সবচেয়ে পছন্দের কার্টুন চরিত্রই হলো পেপ্পা পিগ । কাজেই সেই দিন পেপ্পার আদলেই , কার্টুনের থিমে একটি বর্ণময় ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়েছিল , জানিয়েছেন মীরা ।
বাকি মা-বাবাদের উদ্দেশ্যে এদিন কাপুর পরিবারের গৃহবধূ জানান কিভাবে নবীন ও প্রবীণ উচ্ছ্বলতার মেল্ বন্ধন ঘটিয়ে , আধুনিকতার আমন্ত্রনের সাথেই হারিয়ে যাওয়া ওল্ড স্কুল অভ্যেসকে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করেছিলেন । শিশুদের ব্যস্ত রাখতে আয়োজন করেছিলেন টাগ অফ ওয়ার , মিউজিক্যাল চেয়ারের মতো খেলার । খাদ্য তালিকাতেও দুই প্রজন্মের মধ্যে তাল মিলিয়ে একদিকে ফ্রুটি ওয়েফারের সাথে সাথে পিৎজা , নুডলস , জেলির আয়োজনও ছিল । পরিবারের খুদে সদস্যদের অনুষ্ঠানকে যে কোনও উপায়ে স্মরণীয় করে রাখতে বদ্ধপরিকর মীরা । সকল অনুষ্ঠানের শেষে ঘরময় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হুটোপুটির চিহ্ন এবং সদ্য তৈরী হওয়া এক ঝাঁক স্মৃতির সমাহারকে আঁকড়েই থাকতে ভালোবাসেন শাহিদ পত্নী ।