মিস ইউনিভার্স ২০২১ খেতাব জয়ী হারনাজ সান্ধুকে নিয়ে এখন মেতে আছে গোটা দেশ। আর হবে নাই বা কেন, ২১ বছর পর ভারতে এই শিরোপা এনেছেন হারনাজ। ইজরায়েলে ৭৯টি দেশের প্রতিযোগীদের পরাজিত করে ছিনিয়ে এনেছেন সেরার শিরোপা। চণ্ডীগড়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট গভর্নমেন্ট কলেজ, সেক্টর ১১-র প্রাক্তন ছাত্রী হারনাজ সান্ধু। আগে মাত্র দু'জন ভারতীয় মহিলা মিস ইউনিভার্সের খেতাব জিতেছেন। অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন ১৯৯৪ সালে এবং লারা দত্ত ২০০ সালে মুকুট পরেছিলেন মাথায়। মিস ইউনিভার্স হওয়ার পর আমূল বদলে যাচ্ছে হারনাজের জীবন।
হারনাজের এই জয়ে গর্বিত গোটা ভারতবাসী। তবে একইসঙ্গে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা চলাকালীন এক জায়গায় হারনাজের সঙ্গে তারকা সঞ্চালক স্টিভ হার্ভির ব্যবহার দেখে দর্শকের একাংশ বেজায় ক্ষুব্ধ। তাঁদের মনে হয়েছে সঞ্চালকের সেই ব্যবহারে কোথাও না কোথাও অসম্মান প্রদর্শন করেছে হরনাজের উদ্দেশে। প্রথম থেকেই বলা যাক বিষয়টি। প্রতিযোগিতার মাঝে হারনাজকে ডেকে তাঁকে নিজের বিশেষ এক 'প্রতিভা' দর্শকদের সামনে পেশ করার নির্দেশ দেন স্টিভ। সেটি কী? না, বিড়ালের মতো ডেকে উঠতে হবে হারনাজকে। সামান্য অবাক হলেও হাসিমুখে স্টিভের সেই নির্দেশ পালন করেন হারনাজ। তাঁর গলায় পেশাদার হরবোলাদের মত বিড়ালের 'মিঁউ মিঁউ' ডাক শুনে ততক্ষণে মুগ্ধ স্টিভ সহ বাকি প্রতিযোগী ও বিচারকের দল।
এবার এই ব্যাপারে মুখ খুললেন মিস ইউনিভার্স ২০২১ স্বয়ং। সরাসরি জানিয়েছেন স্টিভের ওই ব্যবহারে তিনি এতটুকুও ওসুমনিট বোধ করেননি। বরং তাঁকে বিড়ালের মতো ডেকে উঠতে বলে তিনি বেশ খুশি হয়েছিলেন। নিজের বক্তব্যের জন্য হারনাজের সাফাই, 'কেউ যদি মনে করেন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা শুধুমাত্র সবদিক থেকে নিখুঁতদের জন্যই, তাহলে তিনি মস্ত বড় ভুল করবেন। আমি যেন মঞ্চে কোনও রাখঢাক না রেখে নিজের সম্পূর্ণ ব্যক্তিত্বকে পেশ করতে পারি কোনও কুন্ঠা ছাড়া তার জন্যেই স্টিভ ওই কাণ্ডটি করেছিলেন। সেইসঙ্গে নিজের এই 'প্রতিভা'টিও মেলে ধরতে পারি মানুষের সামনে। তাই স্টিভের কথানুযায়ী এই ব্যাপারটি করার পর মঞ্চে আরও বেশি মনের জোর পেয়েছিলাম। সামান্য অস্বস্তিটুকুও দূর হয়ে গেছিল।'