রেড কার্পেটে হামেশাই চমৎকার পোশাক আর নিত্য নতুন নতুন লুকসে ধরা দেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তবে বাইরে থেকে যা সুন্দর লাগে সেটা যে সময় আরামদায়ক তা কিন্তু একেবারেই নয়। সম্প্রতি একটা ইন্টারভিউতে এমনই তথ্য ফাঁস করলেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি বলেন, রেড কার্পেটে তাঁর দুটো পোশাক বড্ড অস্বস্তিকর ছিল।
২০০০ সালে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’-মঞ্চ হোক কিংবা ২০১৬ পর্যন্ত অস্কার রেড কার্পেট- প্রিয়াঙ্কা পোশাক সবসময়ই ফ্যানদের কাছে চর্চার বিষয়বস্তু হয়ে থেকেছে।বিশ্বের নামাদামী ফ্যাশন বোদ্ধারা পিগি চপসের এই লুকসের প্রশংসা করেছে, কিন্তু সেইসব নিখুঁত ছবিতে লুকিয়ে রয়েছে তাঁর অস্বস্তিকর মূহূ্র্ত।
‘পিউপিল’ ম্যাগাজিনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা জানান, তাঁর সবচেয়ে সুন্দর লুকসের কথা, তবে একইসঙ্গে অদ্ভূত ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতি ঘটনাও। ২০০০ সালে মিস ওয়ার্ল্ড হওয়ার মূহূর্তে তিনি যে পোশাকে ছিলেন তা বেশ অস্বস্তিকর এবং অসুবিধাজনক ছিল। তিনি বলেন, ‘২০০০ সালে যখন আমি মিস ওয়ার্ল্ড হই, তখন আমার (অফ-শোল্ডার) ড্রেস আমার শরীরে টেপ দিয়ে আটকানো ছিল। সেই সময় শেষ পর্যন্ত যখন আমি জয়ী হয়েছিলাম, তখন সেটা আমার কাছে খুব চিন্তার বিষয় ছিল টেপটা যেন খুলে না বেরিয়ে আসে। তখন আমি পুরো সময় হাঁটছিলাম দুটো হাত জোড়া করে, ‘নমস্কার’এর ভান করে। লোকে ভেবেছিল হয়তো নমস্কার করছি, কিন্তু আমি আমার ড্রেসটাকে ধরে রাখার জন্য ওটা করেছিলাম।‘
দ্বিতীয়বার সব থেকে বেশি অস্বস্তিকর লুকস ছিল ‘মেট গালা ২০১৮’। ওই ইভেন্টে দেশি গার্ল রাল্ফ লরেনের কালেকশনের রেড ভেলভেট গাউন পরেছিলেন। রক্তাভ লাল- রাল্ফ লরেনের পোশাক সঙ্গে মাথায় সোনালি রঙা হুডি। কিন্তু ভিতরে আসল কথা ছিল, আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছিলা না! আমার মনে হচ্ছিল আমার পাঁজরগুলোকে আবার তৈরি করা হয়েছে। রাতে খাবারের সময় বসতে খুব অসুবিধে হচ্ছিল। সত্যিই সেদিন রাতে বেশি কিছু খেতে পারিনি।‘
জার্মানিতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ‘Matrix 4’ এর শ্যুটিং সেরে সদ্যই মার্কিন মুলুকে ফিরেছেন প্রিয়াঙ্কা। এই ফিল্মে মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে কিয়ানু রিভসকে, তবে ফিল্মে প্রিয়াঙ্কার চরিত্র সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। বুধবার লস অ্যাঞ্জেলসের বাড়িতে বিয়ের পর দ্বিতীয় করবা চৌথ উদযাপন করতে দেখা গিয়েছে নিয়াঙ্কা জুটিকে।